আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্কুলের বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। কয়েক ফুট নীচে পড়লেও, মাটিতে ছিল না কোনও রক্তের দাগ। কারণ পুলিশ আসার আগেই তা ধুয়ে মুছে সাফ করে ফেলেন কর্মীরা। কারণ কী? রহস্যমৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশায় পুলিশ। জোরকদমে চলছে তদন্ত।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জয়পুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে এক বেসরকারি স্কুলের ভিতরে পাঁচ তলা থেকে ঝাঁপ দেয় ন'বছর বয়সি এক ছাত্রী। সে ওই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। নীচে পড়তেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে তার।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, স্কুলের পাঁচ তলায় বারান্দায় রেলিংয়ের বাইরে দাঁড়িয়েছিল ওই ছাত্রী। আশেপাশেই বহু পড়ুয়া ছিল। তবে তখনো কেউ লক্ষ করেনি। রেলিংয়ের বাইরে দাঁড়ানোর কয়েক সেকেন্ড পরেই ঝাঁপ দেয় নাবালিকা। ৪৭ ফুট নীচে পড়তেই মৃত্যু হয়েছে তার।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ছাত্রী কোনও কারণে আত্মঘাতী হয়েছে। তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ জানা যাবে। পুলিশ আধিকারিক লক্ষণ খাটানা জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে নীর্জা মোদি স্কুলে। স্কুলের পাঁচ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে সে। তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই পুলিশের সন্দেহ গাঢ় হয়। যেখানে ছাত্রী পড়েছিল, সেখানে কোনও রক্তের দাগ ছিল না। পুলিশ আসার আগেই জায়গাটি পরিষ্কার করে ফেলা হয়েছিল। ছাত্রীর পরিবার ইতিমধ্যেই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করেছে। তাঁদের অনুমান, এটি রহস্যমৃত্যু। স্কুলের শিক্ষক ও কর্মীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছে মৃত ছাত্রীর পরিবার। এই ঘটনাটি ঘিরে কোনও মন্তব্য করেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে মায়ের বকুনি শুনে এক কিশোর আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। একদিনও পড়াশোনা থেকে রেহাই নেই। মা-বাবার বকাঝকা, পড়ার চাপে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। মায়ের বকুনি শুনে টিউশনে গেলেও, চরম পদক্ষেপ করল ১৪ বছরের কিশোর। বহুতল আবাসন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হল সে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে। বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছে, কান্দিভালি এলাকায় ব্রুক আবাসনের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয় ১৪ বছরের এক কিশোর। পড়াশোনার চাপেই সে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশের অনুমান।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বুধবার সন্ধ্যায় টিউশনে যাওয়ার জন্য কিশোরকে জোরাজুরি করেছিলেন তার মা। গৃহবধূ জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় ঘরেই খেলাধুলা করছিল সে। বারবার টিউশনে যেতে বললেও, নারাজ ছিল সে। পড়াশোনায় মন না দেওয়ায় খানিকটা বকাঝকা করা হয়েছিল। এরপর গোমড়া মুখেই টিউশনে যায়।
কিছুক্ষণ পর পুলিশ জানায়, ওই আবাসনের নীচ থেকে কিশোরের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। কিশোরের রহস্যমৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত চলছে। পরিবারের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।
