আজকাল ওয়েবডেস্ক: চেন্নাইয়ের পেরাম্বুর এলাকায় সম্প্রতি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এক মহিলা ফিজিওথেরাপিস্টকে মাদক খাইয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল তাঁরই সিনিয়র (বা সুপারিভাইজারের) বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম কার্তিকেয়ন। ২২ বছরের ওই যুবতী একটি বেসরকারি সংস্থায় ইন্টার্ন হিসেবে কাজ শিখছিলেন। এই ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য চারিদিকে৷
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, রোগীদের বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা করার নাম করে ওই যুবতীকে সঙ্গে নিয়ে বেরোয় অভিযুক্ত কার্তিকেয়ন। দুটি জায়গায় যাওয়ার পর সে জানায়, আরও এক রোগীর ফিজিওথেরাপি করার জন্য অন্য এক জায়গায় যেতে হবে। অভিযোগ, গাড়িতে যাওয়ার সময়েই যুবতীকে একটি পানীয় খেতে দেয় অভিযুক্ত। ওই পানীয়তে মাদক মেশানো ছিল বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
যুবতীর দাবি, পানীয় খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি জ্ঞান হারান। সেই সুযোগে কার্তিকেয়ন তাঁকে যৌন হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। পরে জ্ঞান ফিরলে তিনি তাঁর দিদিকে সব কথা জানান। পরিবারের পক্ষ থেকে কোলাথুর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বর্তমানে অভিযুক্তকে জেরা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ফরিদাবাদে এক তরুণী শুটারকে ধর্ষণের অভিযোগে তাঁর বান্ধবী-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের নাম সত্যেন্দ্র ও গৌরব। চলতি মাসেই সরাই খাজা থানার পুলিশ অভিযুক্তদের ওই হোটেল থেকেই পাকড়াও করে। ঘটনা জানাজানি হতে হুলুস্থুল পড়ে গিয়েছে৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ২৩ বছর বয়সি ওই শুটার একটি প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে এসছিলেন। জানা গিয়েছে, তাঁর এক বান্ধবীর সঙ্গে ফরিদাবাদে আসেন তিনি। এর পরের দিন প্রতিযোগিতা শেষে বাড়ি ফেরার জন্য ওই বান্ধবী তাঁর পরিচিত এক যুবক গৌরবকে ফোন করেন। তাদের মেট্রো স্টেশনে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
গৌরব তার বন্ধু সত্যেন্দ্রকে নিয়ে সেখানে হাজির হয়। এর পর চারজনে মিলে ঠিক করে, বুধবার রাতে তারা ফরিদাবাদেই থেকে যাবে। সেই মতো একটি হোটেলে দু’টি ঘর বুক করা হয়। পরে সেই হোটেলে রাতে একটি ঘরে সবাই মিলে হইহুল্লোড় করে।
তরুণীর অভিযোগ, রাত ৯টা নাগাদ কিছু জিনিস আনতে গৌরবের সঙ্গে নিচে যান তাঁর বান্ধবী। সেই সুযোগে ঘরে একা পেয়ে সত্যেন্দ্র তাঁকে ধর্ষণ করে। বান্ধবী ঘরে ফিরলে নির্যাতিতা তাঁকে সব কথা জানান। এর পরই অন্য এক পরিচিতকে বিষয়টি জানিয়ে অভিযুক্তদের ঘরের মধ্যে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন ওই তরুণী।
খবর পেয়েই পুলিশ হোটেলে পৌঁছয়। উপস্থিত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। সরাই খাজা থানার পুলিশ আধিকারিক রাকেশ কুমার জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুরো ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে৷
