আজকাল ওয়েবডেস্ক: সামনেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। এদিন দুপুরে নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনের প্লেনারি হলে দিল্লি নির্বাচনের ঘোষণা করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। কোনও নির্বাচনের আগে ভোটগ্রহণ এবং গণনার তারিখ ঘোষণা করা কমিশনের একটি সাধারণ প্রক্রিয়া। সাধারণ নির্বাচন হোক বা রাজ্য নির্বাচন, সমস্ত নির্বাচন কমিশনারই এই পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন। এদিনও সেই মতই নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিক সম্মেলন ছিল। তবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি অবসর গ্রহণ করবেন রাজীব কুমার। ফলে, তিনি অবসর নেওয়ার আগে এটাই তাঁর শেষ নির্বাচন। তার আগে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বেশ কিছু শায়েরি শুনিয়ে ‘স্পেশাল’ করে রাখলেন তিনি।
অবশ্য রাজীব কুমারের ক্ষেত্রে এটা নতুন কিছু নয়। ইভিএম এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনারের কাছে প্রশ্ন রাখেন সাংবাদিকরা। রাজীব কুমার শায়েরির মাধ্যমে উত্তর দেন, আগামীকাল আসবে কি আসবে না তার তো ঠিক নেই। অনেকে পরে লিখিত ভাবে উত্তর দেন। আজ জবাব দেওয়া দরকার। তাঁর কথায়, ‘ক্যায়া পাতা কাল হো না হো, আজ জওয়াব তো বানতা হ্যায়’। এখানেই শেষ নয়। অনেক সময় নির্বাচনের ফলাফলের পর রাজনৈতিক নেতারা ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তোলেন। সেই প্রসঙ্গে রাজীব কুমার শায়েরি করে বলেন, ওঁরা যেটা বলেন সেটা ওনাদের করতেই হয়।
কিন্তু শোনা, সহ্য করা এবং সমাধান করাটা আমার স্বভাব এবং আমি শুধু সেটাই করে থাকি। তাঁর কথায়, ‘শিকায়ত ভালে হি উনকি মাজবুরি হো মাগর সুননা, সেহেনা, সুলঝানা হামারি আদত তো হ্যায়’। উল্লেখ্য, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন ৫ ফেব্রুয়ারি। ফল ঘোষণা হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। এবারের ভোটে ত্রিমুখী লড়াই। একদিকে শাসক আম আদমি পার্টি, অন্যদিকে লড়ছে বিজেপি ও কংগ্রেসও। এদিকে ৫ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচন হবে উত্তরপ্রদেশের মিলকিপুর ও তামিলনাড়ুর ইরোদ (পূর্ব) আসনে।
