আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তর প্রদেশের পথরা বাডগো গ্রামে এক ২৫ বছর বয়সি বিএসসি ছাত্রকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবক এখন ব্রিডি মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ঘটনার পরই মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খবর অনুযায়ী ইউটিউব দেখেই এই হামলার ছক কষা হয়৷ আর তাতেই এলাকা ভীত সন্ত্রস্ত। 

পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত যুবকের নাম অমন মৌর্য। সোমবার বিকেলে কয়েকজন দলবদ্ধভাবে তাঁকে ধাওয়া করে। পরে খুব কাছ থেকে গুলি চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পরপর পাঁচ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয় অমনের পিঠে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন অমন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অমনের বাবা মনোজ মৌর্য। তিনি পেশায় কৃষক। তিনি বলেন, “আমি সেদিন মাঠ দেখতে নওতানওয়ায় গিয়েছিলাম। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসি।” ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত যুবক প্রশান্ত সিং (৩০) আজমগড়ের বাসিন্দা। কিছুদিন ধরে অমনের পাশের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকছিল। অতীতে অমনের পরিবারের দিকে উঁকিঝুঁকির অভিযোগে তাঁকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছিল। সম্প্রতি অমন সরাসরি তাঁর সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেন এবং ভবিষ্যতে এমন আচরণ থেকে বিরত থাকার কড়া হুঁশিয়ারি দেন।

আরও পড়ুন: আচমকা চাকরি থেকে বরখাস্ত, ক্ষতিপূরণ চাওয়ায় চরম শারীরিক নির্যাতন, নয়ডার বহুজাতিক সংস্থার প্রাক্তন কর্মীর অভিযোগ শুনলে চমকে উঠবেন 

এই অপমানের প্রতিশোধ নিতেই প্রশান্ত পরিকল্পনা করে হামলার। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে প্রশান্ত স্বীকার করেছে, ইউটিউব এবং গুগলে সে ‘ফায়ারিং কীভাবে করা হয়’ এমন ভিডিও ও তথ্য খুঁজে দেখে। সেই মোতাবেকই সে হামলার ছক কষে।

এএসপি (সিটি) অভিনব ত্যাগী জানান, “অভিযুক্তের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তার ফোন ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, সম্প্রতি সে গুগল ও ইউটিউবে গুলি চালানো সংক্রান্ত বহু কনটেন্ট খুঁজেছে। আদালতে পেশ করার পর তাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।”

আরও পড়ুন: শিক্ষা অধিকারীর দপ্তরে চরম কাণ্ড, প্রধান শিক্ষক খোদ বেল্ট হাতে চড়াও! সিসিটিভি ফুটেজ ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে 

এই ঘটনা ঘিরে গ্রামে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বলছেন, “বাড়ির পাশেই এমন এক ব্যক্তি ভাড়া থাকছিল, যে দিনের পর দিন এ রকম বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দিয়ে গেছে, অথচ কেউ আঁচ করতে পারেনি এত বড় কিছু ঘটতে পারে।”

পুলিশ জানিয়েছে, হামলার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা বর্তমানে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আহত অমনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক হলেও চিকিৎসকেরা প্রাণপণে চেষ্টা চালাচ্ছেন, জানিয়েছেন হাসপাতাল সূত্র।