আজকাল ওয়েবডেস্ক: পণ দিতে না পারায় গৃহবধূকে চরম শারীরিক নির্যাতন‌। এমনকী জোর সঙ্গে সঙ্গমের চেষ্টার অভিযোগ দেওরের বিরুদ্ধে। স্বামীর কাছে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানিয়েছিলেন বধূ। যা শুনে স্বামী যা করলেন, বধূর বর্ণনা শুনে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। শেষমেশ মামলা রুজু করা হয়েছে এই ঘটনায়। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আগ্রায়। নির্যাতিতা গৃহবধূ পুলিশকে জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের ঠিক পরেই পণ নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় শ্বশুরবাড়িতে। তাঁকে ক্রমাগত পণের জন্যে জোরাজুরি করা হত। এমনকী শাশুড়ি মারধরও করেছেন। গত বছরের শেষে তিন লক্ষ টাকা পণ হিসেবে দেওয়ার জন্য জোর করতে থাকেন। না দেওয়ায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় গৃহবধূকে। 

 

এই পরিস্থিতিতেই বৌদির শ্লীলতাহানি করেন দেওর। পয়লা জানুয়ারি আচমকাই তাঁর ঘরে ঢুকে পড়েন যুবক। এরপর অশালীন আচরণ, অঙ্গভঙ্গি শুরু করেন। প্রতিবাদ করায় গৃহবধূর জামাকাপড় ছিঁড়ে দেন। তখনই জোর করে সঙ্গমের চেষ্টা করেন। তাঁর চিৎকার শুনেই ছুটে আসেন স্বামী। অভিযোগ শুনেই স্বামী বলেন, দেওরের কথা শুনেই তাঁকে চলতে হবে না। নতুবা শ্বশুরবাড়িতে কোনও ঠাঁই পাবেন না তিনি। 

 

এ ঘটনার পরেই স্বামীও শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন বলে অভিযোগ। ২০ মার্চ ফোনেই গৃহবধূকে তিন তালাক দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।