আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাত্র আর পাত্রী শুধু নয়, বিয়ে মানেই দুই পরিবারের সদস্যরা আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে নানা পরিকল্পনা, প্রস্তুতিও চলে জোরকদমে। ইদানিং বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে প্রস্তুতি চলে কয়েক বছর ধরে। মণ্ডপের সাজসজ্জা, খাবারের মেনু, পোশাক, গয়না সবকিছুতেই দেদার আয়োজনের পরিকল্পনাও করেন কয়েক বছর আগে থেকেই।
বিয়ের আসরে পাত্রের সঙ্গে শ্যালিকাদের তুমুল অশান্তি। কারণ? পাত্রের জুতো চুরি করেই টাকা চেয়েছিলেন তাঁরা। এটি নতুন ঘটনা নয়। এই রীতি বহু পুরনো। পাত্রের জুতো চুরি করেই টাকা চান শ্যালিকারা। এই রীতি বেশ মজার সঙ্গেই পালিত হয়। কিন্তু শ্যালিকাদের দাবি দেখেই রেগে আগুন পাত্র। শ্যালিকারা যা চেয়েছিলেন, তার দশভাগের একভাগ দিয়ে সন্তুষ্ট করতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। গত ৭ নভেম্বর মথুরার সুরির এলাকা থেকে হাথরাসের এক গ্রামে পৌঁছেছিল এক বিয়ের শোভাযাত্রা। পাত্রীর পরিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। ভারতের উত্তরপ্রদেশে বসেছিল বিয়ের আসর। বরযাত্রীরাও সময়মতো পৌঁছে যান। সন্ধ্যায় হুল্লোড়ে মেতেছিলেন সকলে। সেই সঙ্গে চলছিল দেদার খাওয়াদাওয়া। খাওয়াদাওয়ার পরেই মালাবদল হয় পাত্র ও পাত্রীর। তারপরেই ঘটে অঘটন।
মালাবদলের পর পাত্রের জুতো চুরি করেন শ্যালিকারা। পাঁচ হাজার টাকা দিলে তবেই জুতো ফেরৎ দেওয়া হবে বলে জানান তাঁরা। কিন্তু শ্যালিকাদের দাবি মানতে নারাজ পাত্র। তিনি জানান, জুতোর জন্য মাত্র ৫০০ টাকা দেবেন তিনি। যা শুনেই রেগে যান শ্যালিকারা। এক-দু'কথায় শ্যালিকাদের সঙ্গে তুমুল বচসা শুরু হয় পাত্রের। শেষমেশ পাত্রের ব্যবহারেই চমকে যান সকলে।
শ্যালিকাদের সঙ্গে ঝগড়া করতে করতেই এনগেজমেন্টের আংটি খুলে ছুড়ে ফেলেন। ছিঁড়ে ফেলেন গলার মালা। তুমুল অশান্তি শুরু করেন বিয়ের মণ্ডপে দাঁড়িয়ে। তাঁর আচরণ নিয়ন্ত্রিতদের স্বাভাবিক মনে হয়নি। ছোটখাটো বিষয়ে এমন তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি করায়, সকলেই বিরক্তি প্রকাশ করেন। এই দৃশ্য দেখেই কড়া পদক্ষেপ করেন পাত্রী।
পাত্রের তিরিক্ষি মেজাজ দেখে বিয়ে ভাঙার ঘোষণা করেন পাত্রী। সাফ জানিয়ে দেন, এই যুবকের সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন না। দু'পক্ষের পরিবারের তরফে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেও বিশেষ ফল হয়নি। পাত্রী কিছুতেই আর বিয়ে করতে রাজি হননি। অবশেষে পাত্রীকে ছাড়াই বরযাত্রী ফিরে যান গ্রামে।
এরপর বিয়ের খরচ, খাবার, সাজসজ্জার ব্যয় নিয়েও দুই পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। মজার রীতি, বিয়েতে পাত্রের এই জুতো চুরি করা। যা ঘিরে শেষমেশ যে বিয়ে ভাঙতে পারে, তা দেখেই অবাক হয়ে গেছেন স্থানীয়রা। এখনও জোর চর্চা চলছে উত্তরপ্রদেশের এই গ্রামে।
