আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাতসকালে বৃদ্ধ বাবা দেখছেন, রক্তের মধ্যে ভাসছে ছেলে। ঘরের এক কোণে চুপ করে বসে বউমা। অভিযোগ, কিছুটা কাছে যেতেই ছেলের ঘাড়ে আঘাতের দাগও দেখেন। অভিযোগ, নাতির গৃহ শিক্ষকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই, ছেলেকে খুন করেছেন বউমা।

ঘটনাস্থল বিহার।  মৃত যুবকের নাম সনু। বাড়ি বিহারের সমস্তিপুরে। বয়স বছর ৩০। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার ভোরে মুফাসসিল থানা এলাকার লাগুনিয়া রঘুকান্ত গ্রামে সনু কুমারের বাবা টুনটুন ঝা-ই প্রথম রক্তে ভেসে যাওয়া ছেলের দেহ দেখতে পান। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, পুলিশ ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অভিযোগের ভিত্তিতে সনুর স্ত্রী স্মিতা ঝা-কে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ। সনুর দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টায় শয্যাসঙ্গী ছিল হাজার পার, চ্যালেঞ্জ ছিল দু’ হাজারের, যৌনতায় স্বর্গসুখ পেয়েই আর ‘প্রেম-টেম’-এর সম্পর্ক চাইছেন

পরিবারের অভিযোগ, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই সোনুর স্ত্রী সোনুকে খুন করেছেন। অভিযোগ, সন্তানের গৃহ শিক্ষক, ওই গ্রামেরই হরিওমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন স্মিতা। আগেও পরিবারে তা নিয়ে অশান্তি হয়েছে। সোনু স্মিতা এবং হরিওমকে হাতে নাতে ধরেও ফেলেন একবার। তারপরেই বাড়িতে ওই গৃহশিক্ষকের যাতায়াত বন্ধ হয়।

তবে সম্প্রতি আবার যাতায়াত শুরু হয়েছিল। এবার সোনুর দাদার সন্তানদের গৃহশিক্ষক হয়ে বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেন ওই যুবক। ছ’ বছর আগে বিয়ে হয় সোনু-স্মিতার। দম্পতির দুটি সন্তানও রয়েছে। তবে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক এবং ওই যুবককে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিককালে দু’ জনের মধ্যে প্রায়শই বিবাদ চলত বলে জানাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। মাঝে সমস্যা এতটাই তীব্র হয়, ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে স্থানীয় পঞ্চায়েত। একটি লিখিত চুক্তিও হয়েছিল। তবে মূল সমস্যা সমস্যার জায়গাতেই রয়ে গিয়েছিল বলে সোনুর পরিবারের অভিযোগ।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ছেলের মৃত্যুর ঘটনায়, সোনুর বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন যে শুক্রবার মধ্যরাতে তাঁর ছেলে অটোরিকশা চালিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন, এবং তারপর নিজেই নিজের ঘরে ঘুমাতে যান। অভিযোগ, পরের দিন সকালে ছেলের ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলের দেহ উদ্ধার করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, পুত্রবধু আরও দুই কিংবা তিনজনের সহায়তায় তাঁর ছেলেকে খুন করেছেন। পরিবারের বক্তব্যের পর, পুলিশ স্মিতা ঝাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে পরিবারের দেওয়া তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। কীভাবে সোনুকে খুন, তার বিস্তারিত তথ্যও প্রকাশ্যে আসেনি এখনও। পুলিশ ময়নাতদন্তের পরেই বাকি তথ্য প্রকাশ্যে আনবে বলে খবর সূত্রের।

 

দিনকয়েক আগেই প্রেমের কারণেই মহারাষ্ট্রের পালঘরে স্বামীকে খুনের অভিযোগ ওঠে স্ত্রী কোমলের বিরুদ্ধে। প্রেমের পথে কাঁটা স্বামীকে সরাতে, পড়শি, প্রেমিক মনুর সঙ্গে মিলেই বিজয়কে খুন করেছেন কোমল, অভিযোগ তেমনটাই। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ভাইয়ের খোঁজ না মেলায়, ২১ জুলাই সকালে বিজয়ের ভাইয়েরা বিজয়ের বাড়ি যান। সেখানে গিয়েই আচমকা নজর যায় মেঝের দিকে। আর সেখান থেকেই মোড় ঘুরে যায় ঘটনায়।

 

 বিজয়ের বাড়িতে যাওয়ার পর, তাঁর ভাইয়েরা খেয়াল করেন, মেঝের কিছু অংশের টাইলসের রঙ অন্যান্য জায়গার তুলনায় একেবারে পৃথক। সঙ্গে সন্দেহ বাড়ে পচা দুর্গন্ধে। সন্দেহ হতেই টাইলস ধরে টানাটানি শুরু করেন। আর তাতেই উদ্ধার হয় একটি গেঞ্জি। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় পুলিশে। সূত্রের খবর, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টাইলসের নীচ থেকে বিজয়ের দেহ উদ্ধার করে। 

তথ্য, এলাকার প্রতিবেশী মনুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন কোমল। মনে করা হচ্ছে, প্রেমিক মনুর সাহায্যেই স্বামীকে খুন করে নিজের বাড়ির মেঝেতেই পুঁতে দেন কোমল। দিন কয়েক ওই বাড়িতেই ছিলেন তিনি। পরে পরিস্থিতি বুঝে, দু’ দিন আগে তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।