আজকাল ওয়েবডেস্ক: সপ্তাহে ছ'দিন যিনি অধ্যাপিকা, সপ্তাহান্তে পেশা বদলে হয়ে যান চোর! ছ'দিন কলেজে পড়ান। একদিন বিয়েবাড়িতে চুরি করতে যান। সম্প্রতি এক মহিলা চোরের কীর্তি ফাঁস হতেই শহরজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। পুলিশ জানিয়েছে, বসভনগুড়িতে এক কন্নড় অধ্যাপিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিয়েবাড়িতে গিয়ে সোনার গয়না চুরির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সপ্তাহে ছ'দিন এক বেসরকারি কলেজে অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব সামলান তিনি। বাকি একদিন শহরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে চুরি করেন। বিশেষত বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রিত হয়ে ঢুকেই সোনার গয়না ছিনতাই করে পালিয়ে যান।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, মহিলার নাম, রেবতী। তিনি আদতে শিবামোগ্গার বাসিন্দা। কিন্তু কর্মসূত্রে থাকেন আরকে পুরমে। বেল্লান্দুরের কাছে এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কন্নড়ের অধ্যাপিকা হিসেবে নিযুক্ত তিনি। প্রফেশনের কারণেই কোনও বিয়েবাড়িতে গেলে কারও সন্দেহ হত না। সোমবার থেকে শনিবার কলেজে থাকেন। রবিবার শহরের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে চুরি করেন।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার বিয়ের অনুষ্ঠানগুলিতে ভিড় বেশি জমে। সেই কারণেই রবিবারের অনুষ্ঠানগুলিই টার্গেট করেন তিনি। আত্মীয় বা পরিচিত হিসেবে বিয়ের অনুষ্ঠানগুলিতে ঢুকে পড়েন। এরপর খানিকক্ষণ গল্পগুজব করেই চুরি করতে শুরু করেন। বিশেষত বিয়ের আচার পালনের সময় সোনার গয়না খুলে রাখেন অনেকে। তখনই সোনার গয়না হাতিয়ে পালিয়ে যান।
গত ২৫ নভেম্বর এক বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে একগুচ্ছ সোনার গয়না চুরি যায়। তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। তখনই রেবতীর কীর্তি ফাঁস হয়। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত গত নভেম্বরে সোনার গয়নার লোভে এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। স্রেফ সোনার মঙ্গলসূত্রের জন্য নৃশংস হত্যাকাণ্ড। বাড়ির মালিককে নির্মমভাবে আঘাত করে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল ভাড়াটে দম্পতির বিরুদ্ধে। মৃত প্রৌঢ়ার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। জেরায় খুনের ঘটনাটি স্বীকার করেছিল তারা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির মালিককে খুনের অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুনের পর মালিকের সোনার মঙ্গলসূত্র নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল তারা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাহাল্লিতে। মঙ্গলবার নিউ মিলেনিয়াম স্কুল রোড এলাকায় নিজের বাড়িতে থেকে শ্রীলক্ষ্মী নামের এক প্রৌঢ়ার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, কটনপেট এলাকায় মৃত প্রৌঢ়ার স্বামী কাজ করেন। তিনিই বাড়িতে ঢুকে স্ত্রীর মৃতদেহ দেখতে পান। সেদিন স্ত্রীকে একাধিকবার ফোন করেছিলেন তিনি। কিন্তু কোনও সাড়া পাননি। অবশেষে সন্ধ্যায় আগেভাগেই বাড়ি ফিরে আসেন। বাড়িতে ঢুকেই স্ত্রীর নিথর দেহ দেখতে পান।
প্রৌঢ়ার স্বামী জানিয়েছেন, শ্রীলক্ষ্মীর সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। আঘাতের জেরে তাঁর ঘাড়ে, মুখে ঠোঁটে রক্ত জমাট বেঁধে ছিল। পাশাপাশি গলায় ছিল না সোনার মঙ্গলসূত্র। সেদিনই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ঘটনাটি ঘিরে তদন্ত শুরুর কয়েক ঘণ্টা পরেই ভাড়াটে দম্পতিকে জেরা শুরু করে পুলিশ। দীর্ঘ জেরায় প্রৌঢ়াকে খুন ও সোনার মঙ্গলসূত্র চুরির ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছে তারা। অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ভাড়াটে দম্পতিকে।
