আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশের অন্যতম নামী তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের অফিসে ঘটে গেল এক রোমহর্ষক ঘটনা। কর্মস্থলের ভিতরেই সহকর্মী মহিলাদের গোপনে ভিডিও তুলে দিনের পর দিন যৌন বিকৃতি চরিতার্থ করছিল এক যুবক। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিস্মিত আইটি মহল থেকে শুরু করে গোটা দেশ।
অভিযুক্তের নাম স্বপ্নিল নাগেশ মালি। বয়স আনুমানিক ৩০। মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলি জেলার বাসিন্দা মালি সদ্য ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে তিন মাস আগে ইনফোসিসের বেঙ্গালুরু অফিসে টেকনিক্যাল অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিল। কিন্তু, সংস্থার হেলিক্স ইউনিটে কর্মরত এই যুবক যে এতখানি নোংরামির আশ্রয় নিয়েছিল, তা কল্পনা করতেও অস্বস্তি হচ্ছে সহকর্মীদের।
গত ৩০ জুন এক মহিলা কর্মী অফিসের টয়লেটে থাকা অবস্থায় আচমকাই টের পান, পাশের চেম্বার থেকে কেউ গোপনে তাঁকে ভিডিও করছে। সন্দেহ হওয়ায় বেরিয়ে এসে হাতেনাতে ধরে ফেলেন মালিকে। জানা যায়, অভিযুক্ত ওই সময় টয়লেটের পাশের চেম্বারে গিয়ে কোমোডের উপর উঠে গোপনে ভিডিও তুলছিল। শুধু তাই নয়, তাঁর ফোন ঘেঁটে আরও একাধিক আপত্তিকর ভিডিওর খোঁজ মেলে, যেগুলি আরও দুই মহিলা সহকর্মীর বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
ঘটনার পর তড়িঘড়ি কোম্পানির এইচআর বিভাগ মালিকে আটক করে। প্রথমে সে ক্ষমা চেয়ে ফোন থেকে সমস্ত ভিডিও ডিলিট করার চেষ্টা করে। কিন্তু সংস্থার সিকিউরিটি টিম আগে থেকেই একাধিক স্ক্রিনশট সংরক্ষণ করেছিল। পরে ভুক্তভোগী মহিলা ইলেকট্রনিক সিটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, জেরার সময় অভিযুক্ত স্বীকার করেছে যে, এই ধরনের ভিডিও দেখে সে "যৌন তৃপ্তি" পেত। তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের প্রাসঙ্গিক ধারার পাশাপাশি ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৭ নম্বর ধারা (voyeurism) অনুযায়ী মামলাও রুজু হয়েছে। এই ঘটনায় ইনফোসিস কর্তৃপক্ষ তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে এবং জানিয়েছে, অফিসে মহিলাদের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে, এক অভিজাত সংস্থার অন্দরেই এমন কাণ্ড—সেই প্রশ্ন তুলে দিল তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের নিরাপত্তাব্যবস্থা ও কর্মসংস্কৃতি নিয়ে।
