আজকাল ওয়েবডেস্ক: মণিপুরের জিবিরামে নিহত মেইতেই পরিবারের ছয় জনের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এল প্রকাশ্যে। জিবিরামের জিরি নদী থেকে যেই ছ'জনের ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছিল তাঁদের মধ্যে তিন জনের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, নিহতদের সকলের দেহে গুলির ক্ষত রয়েছে। তিন বছরের শিশুর খুলিতে গুলির ক্ষত মিলেছে। উপড়ে নেওয়া হয়েছে ডান চোখ। সকলের দেহেই মিলেছে গভীর ক্ষত।
মণিপুরের জিবিরাম জেলার এক মেইতেই পরিবারকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল কিছু দিন আগে। জিবিরামের জিরি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল দেহগুলি। নদীতে ভেসে এসেছিল শিশুর এবং বৃদ্ধার মুণ্ডুকাটা দেহ। একি পরিবারের মোট ছ’জনের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগের তির উঠেছিল কুকি জঙ্গিদের দিকে। শিশুর ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা গিয়েছে, শিশুটির শরীরে একাধিক গভীর ক্ষত মিলেছে। বুকের পাঁজরের হাড় ভাঙা ছিল। ডান চোখ উপড়ানো ছিল। শিশুটির মায়ের শরীরে তিনটি এবং নিতম্বের নীচে একটি গুলির ক্ষত ছিল। শিশুটির ঠাকুমার শরীরে মোট পাঁচটি গুলির ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে একটি খুলিতে, দু’টি বুকে, একটি পেটে এবং এক হাতে একটি গুলির ক্ষত ছিল। এই দুই মহিলার শরীরেই একাধিক গভীর ক্ষত পাওয়া গিয়েছে।
পরিবারের বাকি তিন সদস্যের মধ্যে রয়েছেন এক মহিলা, আট বছরের এক কন্যা এবং আট মাসের একটি শিশু। এই তিন জনের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এখনও প্রকাশ্যে আনেনি। শিশুটির বাবা বাকি তিন জনের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় কুকি জঙ্গিদের যোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে মণিপুর সরকার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। গত বছর মণিপুরের হিংসার ঘর হারিয়ে জিবিরামের ত্রাণশিবিরে ঠাঁই নিয়েছিল ওই পরিবার। গত ১১ নভেম্বর কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে সিআরপিএফের সংঘর্ষে দশ জন সন্দেহভাজন জঙ্গীর মৃত্যু হয়। সেই সংঘর্ষের পরে এই পরিবার ত্রাণশিবির থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়।
