আজকাল ওয়েবডেস্ক: ক্লাস নাইনের এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন এক স্কুলশিক্ষক। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের যোধপুর জেলায়।
ওই ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে প্রায়শই হেনস্থা করতেন ওই শিক্ষক। এমনকি মেয়েকে অনুসরণ করে বাড়িতেও চলে এসেছিলেন। ছাত্রীটির0 বাবা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, ইংরাজির ওই শিক্ষক গত ৭ জানুয়ারি টিফিন ব্রেকের সময় তাঁর মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ওই শিক্ষক বলেছিলেন, “তোমাকে আমার পছন্দ। রাশি অনুযায়ী, আমার দুই স্ত্রী থাকবে।“
ছাত্রীটির বাবা তার অভিযোগে বলেছেন, “এর পরেই দলপত গর্গ নামে ওই ব্যক্তি আমার মেয়ের পিছু পিছু আমাদের বাড়িতে আসেন এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন।”
তিনি প্রধান ব্লক শিক্ষা কর্মকর্তা (সিবিইও) এবং সহকারী প্রধান ব্লক শিক্ষা কর্মকর্তা (এসিবিইও) এর বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই দুই কর্তা তাঁকে অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন।
১১ জানুয়ারি ছাত্রীটি প্রিন্সিপালের কাছে অভিযোগ করলে তিনি ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ-সহ একটি রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মেয়েটির বাবা অভিযোগ করেছেন যে অভিযুক্ত শিক্ষক তাঁর পরিচিত এক শিক্ষকের মাধ্যমে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য তাঁকে চাপ দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, "আমাদের লুনি পঞ্চায়েত সমিতির সিবিইও অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যেখানে সবাই আমাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য চাপ দেন এবং হুমকিও দেওয়া হয় যে যদি আমরা তা না করি, তাহলে তাঁরা আমার মেয়ের ট্রান্সফার সার্টিফিকেট আটকে দবে এবং সে কোনও স্কুলে ভর্তি হতে পারবে না।"
রাজস্থানের যোধপুর জেলার বোরানাদা থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে মেয়েটির জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। লুনি পঞ্চায়েত সমিতির সিবিইও প্রশী শামিম, এসিবিইও গণেশরাম ও ওমপ্রকাশ তাক এবং ভাচারনা গ্রামের শিক্ষক বীরমরামের বিরুদ্ধে হয়রানি ও অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
