আজকাল ওয়েবডেস্ক: হরিয়ানার আইপিএস অফিসার ওয়াই পূরণ কুমারের আত্মহত্যার তদন্তের মধ্যেই গোটা ঘটনায় নড়া মোড়। মঙ্গলবার মৃত অফিসারকেই দায়ী করে আত্মঘাতী হয়েছেন হরিয়ানার এএসপি সন্দীপ কুমার। রোহতকের সাইবার সেলে তিনি কর্মরত ছিলেন। সুইসাইড নোটে আইপিএস ওয়াই পূরণ কুমার একজন 'দুর্নীতিগ্রস্ত' অফিসার ছিলেন বলে লিখেছেন সন্দীপ। এছাড়াও সুইসাইড নোটে আত্মঘাতী সন্দীপ কুমার লিখেছেন, নিজের জীবন তিনি 'সত্যের জন্য উৎসর্গ করছেন'।
সন্দীপ কুমার অভিযোগ করেছেন যে, ওয়াই পূরণ কুমার একজন "দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ" ছিলেন। তাঁর করা দুর্নীতি প্রকাশ পাবে, ফলে গ্রেপ্রাত হতে পারেন তিনি- এই ভয়েই তিনি আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছেন ওয়াই পূরণ কুমার। সন্দীপ কুমারের আরও অভিযোগ যে, আইপিএস অফিসার জাতিগত বৈষম্যের বিষয়টি ব্যবহার করে করুণা আদায়ের চেষ্টা করেছেন।
সুইসাইড নোটে সন্দীপ বলে গিয়েছেন যে, দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরে ওয়াই পূরণ কুমারকে বদলি করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, সন্দীপ কুমার, ওয়াই পূরণ কুমারের নিরাপত্তা একজন ঠিকাদারের কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে ধরেছিলেন। একজন গ্যাংস্টার তাঁকে হুমকি দেওয়ার পর ঠিকাদার ওয়াই পূরন কুমারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ঘুষের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর, আইপিএস অফিসার গোটা ঘটনাকে বর্ণবৈষম্যের রং দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং আত্মহত্যা করে মারা যান।
মৃত্যুর আগে রেকর্ড করা একটি ভিডিও বার্তায় সন্দীপ কুমার বলেছেন যে, ওয়াইএস পূরণ কুমারকে রোহতক রেঞ্জে পোস্ট করার পর, তিনি সৎ পুলিশ অফিসারদের পরিবর্তে দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারদের নিয়োগ শুরু করেছিলেন। ওই ভিডিও বার্তায় তাঁর অভিযোগ, "এই লোকেরা ফাইল ব্লক করেছিল, আবেদনকারীকে ডেকেছিল এবং অর্থ চেয়ে তাদের মানসিকভাবে নির্যাতন করেছিল। বদলির বিনিময়ে মহিলা পুলিশ কর্মীদের যৌন শোষণ করা হয়েছিল।"
আরও পড়ুন- ভারতের তিনটি কাশির সিরাপকে ‘নিম্নমান’-এর ঘোষণা করেছে হু, একটি কোল্ডরিফ, বাকি দু’টি কী কী
সন্দীপ কুমার অভিযোগ করেন, "তাঁর দুর্নীতির শিকড় খুব গভীরে ছড়িয়ে আছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের ভয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।"
আত্মাঘাতী আইপিএস অফিসার ওয়াই পূরণ কুমারের স্ত্রী আইএএস অফিসার আমনীত পি কুমারকে নিশানা করে আরেক আত্মঘাতী পুলিশ সন্দীপ কুমার বলেন যে, "ওদের সম্পত্তির তদন্ত হওয়া উচিত। এটি কোনও বর্ণের বিষয় নয়। সত্য বেরিয়ে আসা উচিত। তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলেন।"
সন্দীপ কুমার তাঁর সুইসাইড নোটে রোহতকের পুলিশ প্রধান নরেন্দ্র বিজার্নিয়ার প্রশংসাও করেছেন। আইপিএস পূরণ কুমার সুইসাইড নোটে যে ১০ জন পুলিশ অফিসারকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তাঁদেরই একজন নরেন্দ্র বিজার্নিয়া। বিজার্নিয়াকে পরে বদলি করা হয়েছে।
