আজকাল ওয়েবডেস্ক: চোর বলে সম্বোধন। ছোট ভাইবোনের হেনস্থায় জেরবার। খেলতে খেলতে দু'জনকেই কুয়োর কাছে ডেকে নিয়ে যায় সে। এরপর দুই ভাইবোনকে একসঙ্গে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় কুয়োয়। সেখানেই ডুবে মৃত্যু হয়েছে দুই নাবালকের। নৃশংস হত্যাকাণ্ডে। শিউরে উঠেছেন গ্রামবাসীরা। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের খয়রাগড়-চুইখাদান-গান্দাই জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুই নাবালিকা ও নাবালককে কুয়োয় ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের তুতো দিদির বিরুদ্ধে। কারণ? ১৩ বছরের তুতো দিদিকে 'চোর' সম্বোধন করেছিল ওই দুই নাবালক ভাইবোন। সেই রাগেই প্রতিশোধ নেয় ওই কিশোরী। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে ঝুরানদী জেলায়। অভিযুক্ত কিশোরীকে আটক করেছে পুলিশ। ওই গ্রামের বাসিন্দা গজানন্দ বর্মার চার বছরের ছেলে ও দু'বছরের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত কিশোরী জানিয়েছে, তুতো ভাইবোনেরা তাকে একাধিকবার চোর বলে ডেকেছিল। একবার নয়, একাধিকবার চোর বলে ডাকায় রাগে, ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে সে। এরপরই গ্রামের সবজি বাগানের পাশে এক কুয়োয় দুই নাবালক ভাইবোনকে বোনকে ঠেলে ফেলে দেয় সে‌। 

ঘটনার দিন থেকেই ছেলেমেয়েদের খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবার। গ্রামবাসীরাও তল্লাশি শুরু করে। খুঁজতে খুঁজতে কয়েকজনের নজরে পড়ে, কুয়োয় নাবালিকার দেহ ভাসছে। তড়িঘড়ি করে তার দেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর কুয়োর জল পাম্পের সাহায্যে তুলে, নাবালকের দেহ সেই কুয়ো থেকেই উদ্ধার করেন তাঁরা। দুই নাবালকের মৃত্যুর পর থানায় খুনের মামলা দায়ের করেন তাদের বাবা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। 

এরপর তাদের তুতো দিদিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জেরায় খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে নেয় সে। তাকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ। 

প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে মধ্যপ্রদেশে আরও একটি ভয়ঙ্কর ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। মধ্যপ্রদেশের ছতরপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণে অভিযুক্ত পুরোহিত মহাকাল আশ্রমের একটি শিব মন্দিরে পুজো করত। জানা গেছে, গত চার বছর ধরে এই মন্দিরের দেখাশোনা করে সে। আশ্রমটি এখনও নির্মীয়মাণ। সেই মন্দিরের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে। 

তদন্তে জানা গেছে, দুই নাবালিকা সম্পর্কে তুতো বোন। একজনের বয়স ছয়, অন্যজনের পাঁচ। পরিবারের তরফে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে দুই বোন উঠোনে খেলাধুলা করছিল। সেই সময়ে অভিযুক্ত পুরোহিত প্রসাদ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মন্দিরে ডেকে নিয়ে যায়। পুজোর প্রসাদ খাওয়ার লোভে দুই বোন একসঙ্গে পুরোহিতের সঙ্গেই চলে যায়। 

এরপর মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দুই বোনকে একসঙ্গে যৌন হেনস্থা করে। ধর্ষণ করে একে একে। রাতেই কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে পুরোহিতের কীর্তি ফাঁস করে দুই বোন। পরেরদিন সকালে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পকসো ধারায় পুরোহিতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এ নিয়ে তৃতীয়বার যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল এই পুরোহিতের বিরুদ্ধে। আগের দু'বার থানায় অভিযোগ জানানো হয়নি।