প্রাক্তন গ্রুপ ক্যাপ্টেন আর কে দাস
দুপুরে খবরটা দেখেই মন খারাপ হয়ে গিয়েছে। বড় দুর্ঘটনা সন্দেহ নেই। টেলিভিশনে দেখলাম।
একটা সময় ছিল যখন রানওয়ের আশেপাশে কোনও বসতি বা মানুষের বসবাস ছিল না। কিন্তু এই মুহূর্তে বিমান বন্দরের আশেপাশে প্রচুর বহুতল বাড়ি দেখা যায়। যেটা কিন্তু খুবই বিপজ্জনক। কারণ রানওয়ের 'ফানেল' বা রানওয়ের দুটো দিক যেখানে শেষ হচ্ছে সেই জায়গায় যদি বাড়ি থাকে তবে কিন্তু সেটা যে কোনো সময় বড় বিপদের বার্তা বহন করে আনতে পারে। আমাদের মনে রাখা উচিত, বিমান যখন আকাশে ওড়ে তখন কিন্তু বিমানের সাধারণত কোনো সমস্যা হয় না। সমস্যা হয় বিমান ওঠা বা নামার সময়। আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় বিমানটি যখন আকাশে উড়তে শুরু করেছিল তখন সেটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে একটা বহুতল বাড়ি।
অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে বিমানটিতে কোনও পাখির ধাক্কা লেগেছিল কিনা? এক্ষেত্রে একটা কথা বলছি যে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে সেই বিমানটিতে রয়েছে দুটি ইঞ্জিন। যেগুলি খুবই বড় আকারের। ফলে একটি বা দুটি পাখির ধাক্কা বিমানের কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
ভিডিওতে যেটুকু দেখেছি তাতে মনে হয়েছে বিমানটি ওড়ার সময় আচমকা তার ইঞ্জিনে হঠাৎ করে জোর কমে গিয়েছে। যেটা কোনো যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হতে পারে। যার জন্য পাইলটের ওপরে উড়তে সমস্যা হচ্ছিল। যদিও এগুলি সবই সম্ভাবনার কথা। যতক্ষণ না পর্যন্ত ঘটনার পুরো তদন্ত হচ্ছে ততক্ষণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।
