আজকাল ওয়েবডেস্ক: তিরুপতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে। একদিকে ক্ষোভে ফুঁসছেন সনাতনীরা। সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী প্রায়শ্চিত্ত শেষে মন্দিরে যাবেন বলে জানিয়েছেন। এর মাঝেই জানা গেল, নানা জায়গায় মন্দির এবং মন্দির সংলগ্ন দোকান গুলোতে নানা ধরনের মিষ্টি, পেড়ার নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে প্রসাদ সামগ্রী হিসেবে ব্যবহৃত মিষ্টান্ন তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে কোন কোন সামগ্রী।
ফুড স্যাম্পল অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনেষ্ট্রেশন রবি এবং সোমবার মথুরা, বৃন্দাবনের অন্তত ৪৩ রকমের প্রসাদের নমুনা সংগ্রহ করেছে। ইতিমধ্যে সেসব জায়গা থেকে পেড়া সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে লখনউয়ে।
এফএসডিএ সহকারী কমিশনার ধীরেন্দ্র প্রতাপ সিং জানিয়েছেন, সোমবার মথুরা এবং বৃন্দাবনের অন্তত ১৫ বিক্রেতার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৩ রকমের খাবারের নমুনা । এর মধ্যে রয়েছে দুধ থেকে তৈরি হওয়া সামগ্রী, রয়েছে পনীর, বরফি, মিল্ক কেক, রসগোল্লা, ইমারতি, সোনপাপড়ি। বেশকিছু মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহৃত মশলার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। এর মধ্যে বাকিগুলোতে আপাতভাবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও, পেড়া পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য।
তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদ তৈরিতে পশুর চর্বি ব্যবহার করা হত! মন্দিরের লাড্ডু ঘিয়ের পরিবর্তে পশুর চর্বি দিয়ে তৈরি হত! দিনকয়েক আগে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন খোদ অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু। মুখ্যমন্ত্রীর এমন অভিযোগ শুনেই পুণ্যার্থীদের কপালে হাত। প্রবল চাঞ্চল্য ছড়ায় সর্বস্তরে।
মুখ্যমন্ত্রী নাইডুর দাবি ছিল, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের শাসনকালে তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডুতে পশুর চর্বি থাকত। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসার পর খাঁটি ঘি দিয়েই তৈরি হয় মন্দিরের লাড্ডু। অমরাবতীতে এনডিএ বিধায়কদের বৈঠকে নাইডু বলেন, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের তিরুপতি মন্দিরের বিশেষ যত্ন নেওয়া হত না। এমনকী মন্দিরের লাড্ডু ঘিয়ের পরিবর্তে পশুর চর্বি দিয়ে তৈরি হত। তাই খেতেন পুণ্যার্থীরা।
মুখ্যমন্ত্রী নাইডু আরও দাবি করেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মন্দিরের বিশেষ দেখভাল করা হয়। বিশেষত প্রসাদে আর পশুর চর্বি ব্যবহার করা হয় না। লাড্ডু তৈরি হয় খাঁটি গিয়ে। মন্দির ও মন্দির চত্বর নিয়মিত স্যানিটাইজ করা হয়। ফলে সার্বিকভাবে এর উন্নতিই হচ্ছে।
