আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত-অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ টি২০ ম্যাচের আগেই বিপত্তি। ফের মর্মান্তিক পরিণতি এক ক্রিকেটারের। বল করার সময়ে শরীরে অস্বস্তি। মাঝে বিরতি নিয়ে জল খেতে গিয়েছিলেন। জল খাওয়ার পরেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন তিনি। বাইশ গজেই প্রাণ হারালেন ওই বোলার।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে। ৩০ বছর বয়সি ওই যুবকের নাম রবীন্দ্র আহিরওয়ার। পেশায় একজন এলআইসি অফিসার ছিলেন। কিন্তু ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতেন। গতকাল ক্রিকেট ম্যাচের সময় শরীরে অস্বস্তি অনুভব করেন। জল খাওয়ার পরেই বমি করে ফেলেন। তারপরেই জ্ঞান হারিয়ে বাইশ গজে লুটিয়ে পড়েন।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝাঁসির গভর্মেন্ট ইন্টার কলেজের মাঠে। মাঝে কয়েক সপ্তাহ তিনি খেলাধুলা করেননি। টানা কয়েক সপ্তাহ পর গতকাল মাঠে এসেছিলেন। জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়ার পরেই সতীর্থরা তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি মহারানি লক্ষ্মীবাই মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের জেরেই মৃত্যু হতে পারে তাঁর।
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে উত্তরপ্রদেশেই আরও এক ক্রিকেটারের মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছিল। ভারত - ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন বিপত্তি। দলকে জিতিয়েও মর্মান্তিক পরিণতি হল এক নামী বোলারের। শেষ বল করার পরেই পিচে জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়লেন বোলার। দল জিতে গেলেও, চিরতরে হারিয়ে গেলেন ওই বোলার। বাইশ গজেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন তিনি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মোরাবাদে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই জেলাতেই রবিবার একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। দলের হয়ে শেষ বল করার পরেই ঘটে দুর্ঘটনাটি। আচমকাই জ্ঞান হারিয়ে পিচে লুটিয়ে পড়েন ওই বোলার। মুহূর্তের মধ্যে প্রাণ হারান তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশ ভেটেরান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বিলারি ব্লকের সুগার মিল গ্রাউন্ডে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। এই টুর্নামেন্টে মোরাবাদ ও সম্ভলের ক্রিকেট দলগুলি অংশগ্রহণ করেছিল। মোরাবাদের টিম শুরু থেকেই এগিয়ে ছিল। অন্যদিকে সম্ভলের টিমের জেতার জন্য শেষ চার বলে ১৪ রান প্রয়োজন ছিল। মোরাবাদ টিমের বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলার আমির খান শেষ ওভারে বল করতে নামেন। ১১ রানেই টিমকে জিতিয়ে দেন তিনি।
শেষ বল করার সময়েই ঘটে বিপত্তি। শেষ বল করতে করতেই পিচে জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন আমির খান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শেষ বল করার পর মাঠে শারীরিক অস্বস্তি নিয়েই বসে পড়েছিলেন আমির। এরপর জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন। মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যু হয় তাঁর। গোটা ঘটনাটি একাধিক ভিডিওতে ধরা পড়েছে।
ঘটনার পরেই আমিরের সতীর্থরা এগিয়ে আসেন তাঁর কাছে। মাঠেই উপস্থিত ছিলেন এক চিকিৎসক। পিচেই আমিরকে সিপিআর দেন তিনি। তখনও শ্বাস-প্রশ্বাস চলছিল আমিরের। তাই হাল ছাড়েননি চিকিৎসক। আমিরকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পরেই চিকিৎসকরা আমিরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দল জেতার পর যখন উদযাপনে মেতে ওঠার কথা, তখন বিষাদ ঘনিয়ে আসে এলাকায়। আমির খান স্থানীয় দলের হয়ে দীর্ঘদিন ধরেই খেলাধুলা করেন। মোরাবাদের তো বটেই, গোটা রাজ্যেই তাঁর সুনাম ছড়িয়ে রয়েছে। বাইশ গজেই তাঁর মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকপ্রকাশ করেছে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অর্গানাইজেশন।
