আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২৮ জন শিশুর প্রাণ গিয়েছে কেবল মাত্র চাঁদিপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। বিধানসভায় বুধবার সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, জুলাই মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ১৪ বছরের কম বয়সী ২৮ শিশুর মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। আপ বিধায়কের প্রশ্নের উত্তরে সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ১৬৪ জন শিশু এনকেফেলাইটিস-এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে ৬১জন শিশু চাঁদিপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। জানানো হয়েছে, রাজ্যবাসীর মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য, চাঁদিপুরা ভাইরাস নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং এক সপ্তাহে নতুন কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
জুলাই মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন করে আহমেদাবাদ, আরাবল্লি, সুরেন্দ্রনগর, নর্মদা, রাজকোট, ভদোদরা, গান্ধীনগরে চাঁদিপুরা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। মশাবাহিত এই রোগ সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই বাড়ি বাড়ি ঘুরে সতর্ক করতে শুরু করেছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৫ সালে প্রথমবার মহারাষ্ট্রের চাঁদিপুরা গ্রামে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়। তারপরেই গ্রামের নামে ভাইরাসের নামকরণ হয়। এই ভাইরাসের আক্রান্তদের জ্বর, এনসেফালাইটিস, খিঁচুনি, ডায়রিয়া, মাথাব্যথা, বমির মতো উপসর্গ দেখা যায়। গুজরাটে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে ডায়রিয়া এবং এনসেফালাইটিসের উপসর্গ দেখা গেছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
