আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশেষভাবে সক্ষম কিশোর, কিশোরীদের স্কুলে নির্মম নির্যাতন। ১৬ বছরের বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর স্কুলের মধ্যে। বেল্ট দিয়ে মারতে মারতেই হাসাহাসি! শিউরে ওঠা দৃশ্য কর্ণাটকে। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের এক শহরে। শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, বাগালকোটের নভোগড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বিশেষভাবে সক্ষমদের এক স্কুলে। সেই স্কুলের ১৬ বছরের এক বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধরের ঘটনার ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

 

বেল্ট, প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে ওই বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াকে তুমুল মারধর করা হয়। এরপর লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়ে দেওয়া হয় তার চোখে। ওই কিশোর দিব্যজ্যোতি স্কুলের পড়ুয়া। মারধরের জেরে যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে সে। তা সত্ত্বেও মেঝেতে ঠেসে ধরে তাকে আরও নির্যাতন করা হয়। 

অক্ষয় ইন্দুলকর নামের এক ব্যক্তিকেই ওই বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াকে মারধর করতে দেখা গেছে। তাঁর স্ত্রী আনন্দী ওই কিশোরের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়ে মারেন। যিনি এই নির্যাতনের ভিডিওটি ক্যামেরাবন্দি করছিলেন, তাঁকেও হাসাহাসি করতে শোনা গেছে। ওই স্কুলের এক প্রাক্তন কর্মী ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন। এরপর অভিভাবকরা তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। 

 

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই অক্ষয়, আনন্দী ও ওই স্কুলের আরও একাধিক কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করে পড়ুয়ার পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সকলকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনায় মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে তারা। 

 

কয়েক সপ্তাহ আগেই এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। স্কুলের মধ্যে চরম হেনস্থা, নির্মম নির্যাতনের শিকার একের পর এক ছাত্রী। এবার ঘটনাস্থল হরিয়ানা। এক বেসরকারি স্কুলে ছাত্রীদের বেধড়ক মারধর করতে দেখা গেছে। ঘটনার অভিযোগ উঠেছে খোদ প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধেই। যা ঘিরে তুমুল শোরগোল এলাকায়। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানাতে। পুলিশ জানিয়েছে, ফতেহাবাদে এক বেসরকারি স্কুলের চরম হেনস্থার শিকার হয়েছে দুই ছাত্রী। তাদের বেধড়ক মারধর করতে দেখা গেছে ওই স্কুলের প্রিন্সিপালকে। যে ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও‌। প্রিন্সিপালের নাম ও পরিচয় এখনও ফাঁস করা হয়নি। ঘটনাটি ঘিরে জোরকদমে তদন্ত চলছে। 

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ নভেম্বর স্কুলের সিসিটিভি ক্যামেরায় ছাত্রীদের হেনস্থার ঘটনাটি ধরা পড়েছে। যেখানে দেখা গেছে, একদল ছাত্রী প্রিন্সিপালের সামনেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে হঠাৎ এক ছাত্রীকে কষিয়ে থাপ্পড় মারেন তিনি। এরপর চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে মারধর শুরু করেন। পা দিয়ে লাথি মারতেও দেখা গেছে। 

 

এরপর সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা আরও এক ছাত্রীকে চরম হেনস্থা করেন ওই প্রিন্সিপাল। তাকেও হুমকি দেন বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, ওই ছাত্রীরা সকলেই একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে এসেছিল। সেটি জানতে পারেন প্রিন্সিপাল। স্কুলে ফোন নিয়ে আসার কারণেই ছাত্রীদের নির্মম নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।