সন্তান জন্মের পর, বাবা-মায়ের সবথেকে বড় দায়িত্ব থাকে, সুস্থ, স্বাভাবিক পরিবেশে সন্তানকে বড় করে তোলা। স্বাস্থ্য, শিক্ষার পাশাপাশি শিশুর মধ্যে মানবিক দিকগুলির বিকাশ ঘটছে কি না নজর থাকে সেদিকেও।
2
10
কারণ, একজন মানুষের বাকি গোটা জীবনের জন্য, সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শৈশবকাল, বেড়ে ওঠার ধরন। ছোটবেলার ঘটনাবলী গভীরভাবে দাগ কাটে শিশুমনে।
3
10
আমেরিকার এক মহিলার একটি ভিডিও, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ভাইরাল সম্প্রতি। কী বলছেন ওই মহিলা?
4
10
তিন সন্তানের মা, ক্রিস্টেন ফিশার গত চারবছর ধরে রয়েছেন দিল্লিতেই। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, কেন তিনি নিজের সন্তানদের আমেরিকার বদলে ভারতে বড় করে তুলতে চান। পয়েন্ট ধরে বুঝিয়েছেন কেন তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
5
10
ক্রিস্টেনের মতে, মার্কিন মুলুকের বদলে ভারতে তাঁর সন্তানরা বেড়ে উঠলে, তারা সংস্কৃতি, ভাষা এবং রীতিনীতির সমৃদ্ধ বৈচিত্র্যের সঙ্গে পরিচিত হবে। এটি তাদের বিভিন্ন সংস্কৃতির প্রতি গভীর বোধগম্যতা এবং উপলব্ধি বিকাশে সাহায্য করবে, তারা প্রত্যেকে মুক্তমনা হবে।
6
10
ভারতে বড় হলে তাঁর সন্তানরা একসঙ্গে শিখতে পারবে একাধিক ভাষা। কারণ ভারতে বহুভাষার মানুষের বসবাস।
7
10
ক্রিস্টেনের মতে, তাঁর সন্তানরা ভারতে বেড়ে উঠলে একটি বিস্তৃত বিশ্বদৃষ্টি অর্জন করবে। তারা বৈশ্বিক সমস্যা, আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ এবং বিভিন্ন সামাজিক রীতিনীতি সম্পর্কে এমন অনেক কিছু শিখতে পারবে, যা তাদের বৈশ্বিক নাগরিকত্ব সম্পর্কে আরও নিখুঁত ধারণা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
8
10
এ দেশের বিভিন্ন সামাজিক রীতিনীতি এবং পারিবারিক কাঠামোর সঙ্গে পরিচিত হলে তা শিশুদের উচ্চতর মানসিক বুদ্ধিমত্তা বিকাশে সহায়তা করবে। তারা বিভিন্ন ধরণের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারবে।
9
10
ভারতে বড় হলে শিশুরা ছোট থেকে পারিবারিক বন্ধন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করবে। পরিবার সম্পর্কে ছোট থেকেই ধারণা হবে স্পষ্ট।
10
10
এই দেশে বড় হলে শিশুরা সরলতা, কৃতজ্ঞতা শব্দগুলির সঙ্গে পরিচিত হবে, নিজেদের জীবনে যোগ করবে সেগুলি।