ভারতীয় রান্নায় হলুদ ব্যবহার হামেশাই হয়। বলা ভাল, প্রায় প্রতিটি রান্নাতেই হলুদ দেওয়া হয়। কিন্তু জানেন কি এটা কেবল একটা মশলা নয়। বরং হলুদে রয়েছে ভরপুর ঔষধি গুণ।
2
12
হলুদকে 'গোল্ডেন স্পাইস'ও বলা হয়ে থাকে। কখনও ভেবে দেখেছেন কেন ঠান্ডা লাগলেই গরম দুধে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো ফেলে খেতে বলে বড়রা? বা নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেতে বলে? আসলে এতে রয়েছে ভরপুর প্রদাহ বিরোধী, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ইত্যাদি গুণ।
3
12
নিয়মিত কাঁচা হলুদ খাওয়া উচিত। পুষ্টিগত কোন কোন কারণ রয়েছে তার নেপথ্যে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
4
12
হলুদে কারকুমিন রয়েছে। এটি একটি বায়োঅ্যাক্টিভ যৌগ। এই কারকুমিন প্রদাহ কমায়, আর্থরাইটিসের লক্ষণ কমিয়ে আরাম দেয়।
5
12
এছাড়াও এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে। শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেলকে নিউট্রালাইজ করে যা কোষের ক্ষতি করে হৃদরোগ বা ক্যানসার ঘটায়।
6
12
২০১৯ সালে ফুড বায়োসায়েন্সে প্রকাশিত হওয়া একটি গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছিল হলুদ ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধি এবং ছড়িয়ে পড়া রোধ করে। কমায় মেটাস্টিসিস।
7
12
গ্যাস, অম্বল হওয়া আটকায় হলুদ। হজমে সাহায্য করে। এতে থাকা প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ খাদ্যনালীকে ঠিক রাখে।
8
12
টক্সিন দূর করতে লিভার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় পালন করে। আর তার সেই কাজকে সাহায্য করে হলুদ।
9
12
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে হলুদ। বার্ধক্যজনিত মস্তিষ্কের সমস্যা বা অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকি কমায়।
10
12
হলুদ এমনই ভারতীয় উপমহাদেশে ত্বক ভাল রাখতে নানা প্যাকে ব্যবহার করা হয়। ত্বকের উপর প্রলেপ লাগানো হয় হলুদের। ফলে এটি যে উজ্জ্বল, দাগহীন ত্বক পেতে সাহায্য করে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
11
12
হলুদ ইমিউনিটি বাড়ায়। শরীরের অ্যান্টিবডি রেসপন্সকে উন্নত করে, দূরে রাখে ঘনঘন ঠান্ডা লাগা, সর্দি কাশি থেকে।
12
12
তবে যাঁদের গলব্লাডার বা লিভারের সমস্যা আছে তাঁরা সচেতন ভাবে বা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে হলুদ খাবেন। গর্ভবতী এবং যে মহিলারা সন্তানদের স্তন্যপান করান তাঁরাও এটি সচেতনভাবে গ্রহণ করবেন।