অর্থের জরুরি প্রয়োজন হলে পার্সোনাল লোন অনেকের কাছেই দ্রুত সমাধান হিসেবে দেখা দেয়। চিকিৎসা খরচ, বিয়ে, ভ্রমণ বা পুরনো ঋণ শোধ—যে কারণেই হোক না কেন, এই লোন সহজে পাওয়া যায় কারণ এতে কোনও জামানত লাগে না। তবে ঠিক এই কারণেই পার্সোনাল লোনের সুদের হার সাধারণত হোম লোন বা গাড়ির লোনের তুলনায় অনেক বেশি হয়। তাই কোনও লোন নেওয়ার আগে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সুদের হার তুলনা করা অত্যন্ত জরুরি। মাত্র ১ শতাংশ সুদের ব্যবধানও দীর্ঘমেয়াদে বড় অঙ্কে পরিণত হতে পারে।
2
10
বর্তমানে বেশিরভাগ ব্যাঙ্ক পার্সোনাল লোনে গড়ে ১২ থেকে ১৮ শতাংশ সুদ নিচ্ছে। তবে এটি নির্ভর করছে আবেদনকারীর ক্রেডিট স্কোর, আয়ের উৎস এবং ব্যাঙ্কের শর্তাবলির উপর।
3
10
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI), দেশের বৃহত্তম সরকারি ব্যাঙ্ক, পার্সোনাল লোনে বছরে ১০.০৫% থেকে ১৫.০৫% পর্যন্ত সুদ নেয়। এর প্রসেসিং ফি (Processing Fee) ১,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে সর্বাধিক ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে (ট্যাক্স বাদে), যা ঋণের মেয়াদ ও পরিমাণের উপর নির্ভর করে।
4
10
আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক (ICICI Bank)-এর সুদের হার বছরে ১০.৪৫% থেকে ১৬.৫০%। এখানে প্রসেসিং ফি হিসেবে ব্যাঙ্ক লোনের পরিমাণের সর্বাধিক ২% পর্যন্ত চার্জ নিতে পারে, সাথে যুক্ত হয় GST।
5
10
এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক (HDFC Bank)-এর পার্সোনাল লোনের সুদের হার ৯.৯৯% থেকে শুরু হয়ে সর্বাধিক ২৪% পর্যন্ত যেতে পারে। প্রসেসিং ফি নির্দিষ্টভাবে ৬,৫০০ টাকা, যার উপর GST প্রযোজ্য।
6
10
কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক (Kotak Mahindra Bank) বছরে ৯.৯৮% সুদ থেকে পার্সোনাল লোন অফার করে। তবে এখানে প্রসেসিং ফি লোনের পরিমাণের সর্বাধিক ৫% পর্যন্ত হতে পারে, যা সাধারণত লোন বিতরণের সময় কেটে নেওয়া হয়।
7
10
ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Union Bank of India) বছরে ১০.৭৫% থেকে ১৪.৪৫% সুদের হার নেয়, যা সরকারি ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে মাঝারি স্তরের বিকল্প হিসেবে ধরা যেতে পারে।
8
10
ক্যানারা ব্যাঙ্ক (Canara Bank) দুটি ধরণের সুদ দেয়—স্থির (Fixed) ও পরিবর্তনশীল (Floating)। স্থির সুদ বছরে ১৪.৫০% থেকে ১৬%, আর পরিবর্তনশীল হার RLLR-এর সাথে যুক্ত থেকে ১৩.৭৫% থেকে ১৫.২৫% পর্যন্ত হয়।
9
10
ব্যাঙ্ক অফ বরোদা (Bank of Baroda) বছরে ১০.৪% থেকে ১৫.৭৫% পর্যন্ত সুদ নেয়। কর্মচারী সরকারি না বেসরকারি খাতে কাজ করেন এবং তাঁর ক্রেডিট স্কোর কত ভাল—তার উপরই নির্ভর করে চূড়ান্ত হার।
10
10
লোন নেওয়ার আগে নিজের পরিশোধক্ষমতা, EMI পরিমাণ এবং মোট খরচ হিসাব করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সামান্য গবেষণাই ভবিষ্যতের আর্থিক চাপ অনেকটা কমিয়ে দিতে পারে।