জীবন এখন অনেকটাই গতিময়। পেশাগত-ব্যক্তিগত জীবনের চাপের সঙ্গে বেড়েছে ধূমপান, মদ্যপান, খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, শরীরচর্চা না করার প্রবণতা। তাই তো আগে ৬০ বছরের পর যে সব জটিল রোগ থাবা বসাত, এখন ৪০ পেরতে না পেরতেই জাঁকিয়ে বসছে সেইসব অসুখ। বেশিরভাগ সময় রোগের জটিল পর্যায়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন রোগী। যে কোনও রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য নতুন বছরের আগেই করিয়ে নিন বেশ কয়েকটি জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
2
11
সাধারণ রক্ত পরীক্ষা (সিবিসি-কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট)ঃ এটি সবচেয়ে মৌলিক পরীক্ষা। এক্ষেত্রে রক্তের হিমোগ্লোবিন, শ্বেত রক্তকণিকা এবং প্লেটলেট সংখ্যা বোঝা হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তাল্পতা, সংক্রমণ বা অন্য কোনও অজানা রোগ শনাক্ত করা সম্ভব। তাই বছরে অন্তত একবার এই পরীক্ষা করানো জরুরি।
3
11
এইচবিএ১সি- ডায়াবেটিস পরীক্ষাঃ এই রক্ত পরীক্ষা দেখায় শেষ ২–৩ মাসে শরীরের শর্করা নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা। শুধু ফাস্টিং বা র্যা ন্ডম রক্তের শর্করা দেখা যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে যাদের পরিবারে ডায়াবেটিস আছে বা ওজন বেশি, তাদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
4
11
কোলেস্টেরল পরীক্ষা (লিপিড প্রোফাইল)ঃ লিপিড প্রোফাইল দেখায় এলডিএল, এইচডিএস, ট্রাইগ্লিসারাইড এবং মোট কোলেস্টেরল। উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগ, স্ট্রোক বা ব্লাড ভেসেল সমস্যা বাড়াতে পারে। তাই ৩০–৩৫ বছরের পর নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত।
5
11
থাইরয়েড পরীক্ষাঃ থাইরয়েড হরমোন ঠিক না থাকলে ওজন বেড়ে যায়, শরীরে ক্লান্তি থাকে, চুল ও ত্বকে প্রভাব পড়ে। মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েডের সমস্যার হার বেশি। নিয়মিত পরীক্ষা করলে সমস্যা আগে ধরা যায়।
6
11
ভিটামিন ডি ও বি১২ পরীক্ষাঃ ভারতে অনেকের ভিটামিন ডি ও বি১২-এর ঘাটতি থাকে। যার ফলে ক্লান্তি, হাড়ের ব্যথা, মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে।
7
11
ক্যানসার স্ক্রিনিংঃ মহিলাদের জন্য প্যাপ স্মিয়ার, ব্রেস্ট আলট্রাসাউন্ড বা ম্যামোগ্রাম করানো জরুরি। পুরুষদের পিএসএ অর্থাৎ প্রোস্টেট স্ক্রিনিং করালে মারণ রোগ আগেভাগে চিহ্নিত করা যায়।
8
11
কিডনি ও লিভার ফাংশন টেস্টঃ জীবনধারার অনিয়ম যেমন অতিরিক্ত চিনি, তেল, মদ্যপান কিডনি ও লিভারের ক্ষতি বাড়ায়। নিয়মিত পরীক্ষা করলে ঝুঁকি এড়ানোর সম্ভাবনা বাড়েো।
9
11
হৃদরোগ পরীক্ষা (ইসিজি, ইকো,স্ট্রেস টেস্ট)ঃ হৃদরোগ নীরব শরীরে বাসা বাঁধে। তাই এই সব নির্দিষ্ট টেস্ট করলে হার্টে ব্লক বা কোনও রকম অস্বাভাবিকতা আগেভাগে ধরা যায়।
10
11
রক্তচাপ নিয়মিত মাপাঃ রক্তচাপ বৃদ্ধি অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ঘরে বা হাসপাতালে নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত।
11
11
পেট ও বুকের পরীক্ষাঃ পেটের আল্ট্রাসাউন্ড লিভার, কিডনি, গলব্লাডার ইত্যাদি অঙ্গের সমস্যা আগে ধরতে সাহায্য করে। বুকের এক্স-রে ফুসফুসের সমস্যা, টিউবারকিউলোসিস বা ধূমপানজনিত ক্ষতি চিহ্নিত করে।