শীতে তাপমাত্রা যেমন কমে যায়, তেমনই বাতাসও শুষ্ক হয়ে ওঠে। এর ফলেই ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে যায় এবং অনেকেরই ড্রাই স্কিন বা শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় পর্যাপ্ত হাইড্রেশন না থাকলেও ত্বক ফেটে যায় বা রুক্ষ হয়ে যায়। মোটের উপর শীতকাল ড্রাই স্কিনের জন্য সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা হিসাবে দেখা দেয়। ত্বক ফেটে গেলে সংক্রমণের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তবে কিছু সহজ ঘরোয়া প্রতিকার মেনে চললে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
2
7
মেডিক্যাল নিউজ টুডে-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সূর্যমুখীর তেল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। স্নানের পর এটি ময়েশ্চারাইজার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ত্বককে শুকনো হতে দেয় না এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতাও বজায় রাখে। দিনে দু'তিনবার এটি ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
3
7
নারকেল তেল ড্রাই স্কিনের জন্য এক অসাধারণ প্রাকৃতিক উপাদান। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নারকেল তেল ময়েশ্চারাইজিং ক্রিমের মতোই কার্যকরী এবং এটি ত্বকের আর্দ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডস ত্বকের ফাটল পূরণ করে ত্বককে মসৃণ ও কোমল করে তোলে।
4
7
মধু একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার, যার মধ্যে হিলিং ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ রয়েছে। এটি সরাসরি শুষ্ক ত্বকে লাগানো যেতে পারে। এটি ত্বকে আর্দ্রতা জোগানোর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক মেরামতেও সাহায্য করে। মধু সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং সাধারণত কোনও ধরনের অ্যালার্জি সৃষ্টি করে না।
5
7
ত্বককে কোমল রাখার জন্য অ্যালোভেরার ব্যবহার বহু যুগ ধরে চলে আসছে। সরাসরি ত্বকে অ্যালোভেরা জেল লাগালে শুষ্কতা, জ্বালা ও চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রাতে ঘুমানোর আগে এটি হাত ও পায়ে লাগিয়ে দস্তানা বা মোজা পরে নিতে পারেন। এতে ত্বক গভীরভাবে আর্দ্রতা পায় এবং সকালে আরও নরম ও মসৃণ হয়ে ওঠে।
6
7
যদি পুরো শরীরের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, তাহলে ওটস বা ওটমিল গুঁড়ো করে গোসলের জলে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। ওটমিলে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ ত্বকের জ্বালা, চুলকানি ও রুক্ষতা কমাতে সাহায্য করে। এটি একটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও নিরাপদ পদ্ধতি।
7
7
শীতকালে পর্যাপ্ত জল পান, পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ এবং এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে ড্রাই স্কিনের সমস্যা অনেকটাই দূর করা যায়। প্রাকৃতিক উপায়েই ত্বককে আর্দ্র, কোমল ও সুস্থ রাখা সম্ভব।