আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুরুষদের ক্ষেত্রে ৪০ বছর বয়সকে একটি মাপকাঠি হিসাবে দেখা হয়। ৪০-এর পর শরীরে কিছু পরিবর্তন আসতে শুরু করে, যেমন - হজমশক্তি কমে যাওয়া, হাড়ের ক্ষয়, পেশিশক্তি হ্রাস পাওয়া এবং বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়া। তাই এই ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় সঠিক খাদ্য গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রইল এমন ন’টি খাবারের নাম যা ৪০ পেরিয়ে গেলে পুরুষদের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখা উচিত।
2
10
ওটস: ওটসে রয়েছে দ্রবণীয় ফাইবার বিটা-গ্লুকান, যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাট রাখতে সাহায্য করে, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
3
10
গাঢ় সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, সজনে পাতা, মেথি শাক, পুঁই শাক ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন (যেমন ভিটামিন কে, এ, সি), খনিজ (যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন) এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এগুলি হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে, চোখের দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
4
10
বাদাম ও বীজ: আমন্ড, আখরোট, চিয়া বীজ, ফ্ল্যাক্সসিড (তিসি) ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে ভরপুর। এগুলি হৃদপিণ্ডের জন্য উপকারী, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তাই ৪০ পেরোলে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে এই বাদাম ও বীজগুলি খাওয়া উচিত।
5
10
সামুদ্রিক মাছ: স্যামন, ম্যাকেরেল, সার্ডিন, ইলিশ (পশ্চিমবঙ্গে সহজলভ্য) ইত্যাদি মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে থাকে। ওমেগা-৩ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য, চোখের স্বাস্থ্য এবং হৃদপিণ্ডের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি শরীরের প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন এই ধরনের মাছ খাওয়া ভাল।
6
10
বেরি জাতীয় ফল: ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, জাম, ব্ল্যাকবেরি ইত্যাদি ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি থাকে। এগুলি কোষের ক্ষতি রোধ করে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এগুলি স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতেও সাহায্য করে।
7
10
টক দই: দই, বিশেষ করে টক দই, প্রোবায়োটিকের চমৎকার উৎস। প্রোবায়োটিক অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, হজম ক্ষমতা বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও দইতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন থাকে, যা হাড় ও পেশির জন্য জরুরি।
8
10
শিম ও ডাল: বিভিন্ন ধরনের ডাল (যেমন মুগ, মসুর, ছোলা) এবং শিম (যেমন রাজমা, মটর) প্রোটিন ও ফাইবারের খুব ভাল উৎস। এগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাট রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এছাড়া এগুলিতে আয়রন ও অন্যান্য খনিজও পাওয়া যায়।
9
10
টমেটো: টমেটোতে লাইকোপিন নামক একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বেশি বয়সে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই ক্যানসার খুব বেশি দেখা যায়।
10
10
হলুদ: হলুদে থাকা কারকিউমিন একটি অত্যন্ত শক্তিশালী প্রদাহনাশক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি গাঁটের ব্যথা কমাতে, হজমশক্তি উন্নত করতে এবং বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।