প্রকৃতি সকলকেই নিজের মতো করে ক্ষমতা প্রদান করেছে। সেখান থেকে তারা নিজেদের ক্ষমতার মাধ্যমে নিজেদেরকে রক্ষা করে থাকে।
2
9
এই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে মিমিক অক্টোপাস। তাকে বলা হয় অতি চতুর প্রাণী যাকে জলের মধ্যে সহজে পাওয়া যায় না। যদি তাকে পাওয়া যায় তাহলে সে নিজেকে দ্রুত লুকিয়ে ফেলে।
3
9
মিমিক অক্টোপাস প্রথম দেখা গিয়েছিল ১৯৯৮ সালে। ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্রের জলে এদের দেখা মেলে। এর নাম মিমিক তার কারণ অতি দ্রুত অন্যের রূপ নিয়ে নেয়।
4
9
এদের প্রধান গুন হল এরা অতি সহজে নিজের আশেপাশের সকল প্রাণীকে নকল করতে শিখে নেয়। সেইমতো এরা নিজেদেরকে সেইমতো তৈরি করে নেয়।
5
9
অন্য অক্টোপাস অতি দ্রুত নিজের বিষ প্রয়োগ করে নিজেকে বাঁচিয়ে নেয়। তবে মিমিক অক্টোপাস একেবারে শেষ পর্যন্ত নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে চেষ্টা করে। তার সমস্ত রূপ সে ব্যবহার করে। একেবারে শেষবেলায় সে বিষ প্রয়োগ করে।
6
9
অক্টোপাসের বুদ্ধি এমনিতেই অনেক বেশি থাকে। সেদিক থেকে দেখতে হলে মিমিক অক্টোপাসের বুদ্ধি সবার থেকে বেশি থাকে। এরা জলের মধ্যে ভারাসাম্য রক্ষা করতে বিরাট ভূমিকা নেয়।
7
9
এমনকি যেখানে লুকিয়ে থাকার জায়গা কম থাকে সেখানেও মিমিক অক্টোপাস নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। জলের মধ্যে অন্য প্রাণীকে নকল করে এরা অনেক সময় মাছের মতো আকার নিতে পারে।
8
9
যদি প্রকৃতির কাছ থেকে নিজেকে রক্ষা করার কৌশল শিখতে হয় তাহলে মিমিক অক্টোপাস হতে পারে আপনার প্রধান শিক্ষক। যেভাবে নিজেকে এরা পরিবর্তন করতে পারে সেভাবে কেউ এই কাজটি করতে পারে না।
9
9
অক্টোপাসের কাজই হল নিজেকে লুকিয়ে রাখা। সেখানে বাকিদেরকে একেবারে পিছনে ফেলে দিয়েছে মিমিক অক্টোপাস। নিজের মতো করে সকলকে বোকা বানানোর কাজটি সে দারুণভাবে করতে পারে।