মণিকা বিশ্বকর্মা। বয়স মাত্র ২২ বছর। এরই মধ্যে জিতে নিয়েছেন ‘মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫’ খেতাব। আগামী নভেম্বর মাসে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মিস ইউনিভার্স ২০২৫। সেই প্রতিযোগিতায় দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। রাজস্থানের ছোট শহর শ্রীগঙ্গানগরের মেয়ে মণিকার এই সাফল্যের গল্প যেন এক স্বপ্নকাহিনি।
2
6
সাধারণ পরিবারে বড় হওয়া মণিকা ছোটবেলা থেকেই নিজের স্বপ্নকে বাস্তব করার লক্ষ্য স্থির করেছিলেন। বর্তমানে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বিজ্ঞান ও অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করছেন। শুধু পড়াশোনাই নয়, ছোটবেলা থেকে নাচ, চিত্রকলা ও সৃজনশীল কাজে আগ্রহী মণিকা। তিনি ক্লাসিক্যাল নৃত্য ও ফাইন আর্টসে প্রশিক্ষিত। ললিতকলা অ্যাকাডেমি ও জেজে স্কুল অফ আর্টস থেকে তাঁর শিল্প প্রতিভা স্বীকৃতি পেয়েছে।
3
6
গত ১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত ফাইনাল রাউন্ডে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নির্বাচিত প্রতিযোগীদের হারিয়ে মণিকা জিতে নেন ভারতের সবচেয়ে সম্মানজনক সৌন্দর্য খেতাবটি। ফাইনাল পর্বে প্রশ্নোত্তর রাউন্ডে তিনি বলেন, “মহিলাদের ক্ষমতায়নের সবচেয়ে বড় উপায় হল শিক্ষা। অর্থনৈতিক সহায়তা নয়, শিক্ষা তাদের স্বাধীন ও আত্মনির্ভর করে তোলে।” তাঁর এই উত্তর বিচারক ও দর্শকদের মন জয় করে নেয়।
4
6
মণিকা শুধু গ্ল্যামার দুনিয়ার মুখ নন, সমাজসচেতন এক তরুণীও। তিনি ‘নিউরোনোভা’ নামে একটি উদ্যোগের প্রতিষ্ঠাতা, যা নিউরোডাইভারজেন্ট ব্যক্তিদের যেমন এডিএইচডি আক্রান্তদের নিয়ে সচেতনতামূলক কাজ করে এবং তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নিয়ে সহায়তা করে।
5
6
নিজের জয়ের পর মণিকা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি শুধু সুন্দর মুখ হতে চাই না, আমি পরিবর্তনের কণ্ঠ হতে চাই।” তাঁর আত্মবিশ্বাসী উপস্থিতি ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি আজ লাখো তরুণীর অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।
6
6
আগামী ২১ নভেম্বর থাইল্যান্ডের ননথাবুরি প্রদেশে অনুষ্ঠিত হবে মিস ইউনিভার্সের মূল প্রতিযোগিতা। অংশ নেবে ৯০-টিরও বেশি দেশের প্রতিযোগিরা। এর আগে ভারত তিন বার এই শিরোপা জিতেছে। ১৯৯৪ সালে বাংলার মেয়ে সুস্মিতা সেন, ২০০০ সালে লারা দত্ত এবং ২০২১ সালে হারনাজ সান্ধু-র হাত ধরে বিশ্বজয়ের খেতাব আসে ভারতে। এবার মণিকার কাঁধে সেই ঐতিহ্য বহনের দায়িত্ব। রাজস্থানের তরুণী কি পারবে আবার দেশের মাথায় মুকুট ফেরাতে? অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক দিনের।