আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুস্থ জীবনযাপনের অবিচ্ছেদ্য অংশ শরীরচর্চা। কিন্তু ব্যায়াম করার সময় হৃদস্পন্দন কতটা হওয়া উচিত এবং কখন তা বিপদের সঙ্কেত দিতে পারে, সে বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। যাঁরা সমাজমাধ্যমে অল্পবিস্তর চোখ রাখেন, তাঁরা সাম্প্রতিক কালে এমন বেশ কিছু ভিডিও দেখতে পেয়েছেন যেখানে ব্যায়াম করতে করতে আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির। তাই মাথায় রাখতে হবে শরীরচর্চার সময় হৃদস্পন্দন একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকা উচিত।
2
13
সর্বোচ্চ হৃদস্পন্দন কীভাবে বুঝবেন? বিষয়টি মূলত নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বয়স এবং শারীরিক ক্ষমতার উপর। সাধারণভাবে, আপনার সর্বোচ্চ হৃদস্পন্দন অনুমান করার একটি সহজ পদ্ধতি হল ২২০ থেকে আপনার বয়স বিয়োগ করা। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার বয়স যদি ৪০ বছর হয়, তাহলে আপনার আনুমানিক সর্বোচ্চ হৃদস্পন্দন হবে ২২০ - ৪০ = ১৮০ বিট প্রতি মিনিট।
3
13
শরীরচর্চার সময়, বিশেষত মাঝারি থেকে তীব্র ব্যায়ামের ক্ষেত্রে, আপনার হৃদস্পন্দন এই সর্বোচ্চ হারের ৫০% থেকে ৮৫% এর মধ্যে থাকা উচিত। একে বলা হয় টার্গেট হার্ট রেট জোন। যাঁরা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করেন তাঁরা সহজেই হার্ট রেট মাপতে পারেন।
4
13
মাঝারি তীব্রতার ব্যায়ামের ক্ষেত্রে হার্টরেট সর্বোচ্চ হৃদস্পন্দনের ৫০% থেকে ৭০% হবে। আরও এক ভাবে বিষয়টি পরীক্ষা করতে পারেন। এই স্তরের ব্যায়ামে আপনি কথা বলতে পারবেন, কিন্তু গান গাইতে পারবেন না।
5
13
তীব্র ব্যায়াম: সর্বোচ্চ হৃদস্পন্দনের ৭০% থেকে ৮৫%। এই স্তরের ব্যায়ামে আপনি বেশি কথা বলতে পারবেন না, শ্বাস ঘন ঘন নিতে হবে।
6
13
কখন হৃদরোগের আশঙ্কা দেখা দেয়? শরীরচর্চার সময় হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হবেই। কিন্তু যদি তা নিয়মিতভাবে আপনার আনুমানিক সর্বোচ্চ হৃদস্পন্দনের কাছাকাছি বা তার থেকেও বেশি হয়ে যায় এবং নিম্নলিখিত উপসর্গগুলি দেখা দেয়, তাহলে তা হৃদরোগের ঝুঁকির সঙ্কেত হতে পারে-
7
13
অতিরিক্ত দ্রুত এবং অনিয়মিত হৃদস্পন্দন: যদি হৃদস্পন্দন খুব দ্রুত (সাধারণত সর্বোচ্চ সীমার উপরে) হয় এবং তার সঙ্গে ছন্দের অভাব দেখা দেয়।
8
13
বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি: ব্যায়ামের সময় বুকে চাপ, ব্যথা বা অজানা কোনও অস্বস্তিকর অনুভূতি। এই ব্যথা চোয়াল, ঘাড় বা হাতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
9
13
অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট: হালকা বা মাঝারি ব্যায়ামেও যদি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি শ্বাসকষ্ট হয়।
10
13
মাথা ঘোরা বা জ্ঞান হারানো: ব্যায়ামের সময় বা তার ঠিক পরে যদি মাথা হালকা লাগে, চোখে অন্ধকার দেখেন বা জ্ঞান হারান।
অতিরিক্ত ক্লান্তি: স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি দুর্বল বা ক্লান্ত বোধ করা, যা ব্যায়ামের তীব্রতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
13
13
যাঁদের আগে হৃদরোগ হয়েছে বা হৃদরোগের পারিবারিক ইতিহাস আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে শরীরচর্চা শুরু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসকই তাঁদের জন্য সঠিক ব্যায়ামের ধরন এবং হৃদস্পন্দনের নিরাপদ সীমা নির্ধারণ করে দিতে পারবেন।