আয়কর রিটার্ন (আইটিআর) জমা দেওয়ার শেষ তারিখ অনেক আগেই—১৬ সেপ্টেম্বর—শেষ হয়েছে। রিটার্ন দাখিলের পর বেশিরভাগ করদাতার রিফান্ড আয়কর দফতর প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করেছে। তবে কিছু করদাতার রিফান্ড এখনও বকেয়া রয়েছে।
2
10
রিফান্ড দেরি হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, কিন্তু সুখবর হল যদি আপনি নির্ধারিত সময়সীমা অর্থাৎ ১৬ সেপ্টেম্বরের আগে রিটার্ন দাখিল করে থাকেন, তবে ১ এপ্রিল থেকে প্রতি মাসে ০.৫% হারে সুদও প্রদান করবে আয়কর দফতর। তবে যাঁরা নির্ধারিত সময়ের পরে রিটার্ন জমা দিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে রিফান্ডের সুদ গণনা শুরু হবে রিটার্ন দাখিলের তারিখ থেকে। রিফান্ড প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে করদাতার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণ থাকা আবশ্যক।
3
10
বৈধ ব্যবহারকারী আইডি ও পাসওয়ার্ড থাকতে হবে
করদাতাকে প্রথমে আয়কর পোর্টালে লগ-ইন করতে সক্ষম হতে হবে। ভুল পাসওয়ার্ড বা অ্যাকাউন্ট লক থাকলে রিফান্ড প্রক্রিয়া বিলম্বিত হতে পারে।
4
10
প্যান-আধার লিঙ্ক থাকা বাধ্যতামূলক। প্যান নম্বর আধারের সাথে লিঙ্ক না থাকলে রিফান্ড আটকানো হতে পারে। কারণ রিফান্ড দাবি করে সঠিকভাবে আইটিআর দাখিল করতে হবে
রিটার্নের মধ্যে যদি রিফান্ড দাবি না করা থাকে অথবা ভুল তথ্য দেওয়া হয়, তবে রিফান্ডের প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়।
5
10
আয়কর পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত ৪ থেকে ৫ সপ্তাহের মধ্যে রিফান্ড করদাতার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যায়। কিন্তু নির্ধারিত সময় অতিক্রম করার পরও রিফান্ড না পাওয়া গেলে করদাতাকে অবশ্যই নিজের ই-মেল বা পোর্টালের নোটিফিকেশন চেক করতে হবে, কারণ আয়কর দফতর অনেকসময় রিটার্নে ত্রুটি বা অমিল শনাক্ত করে আলাদাভাবে যোগাযোগ করে থাকে। এছাড়া, রিফান্ড স্ট্যাটাস নিজেও অনলাইনে দেখে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
6
10
রিফান্ড স্ট্যাটাস জানার ধাপসমূহ জেনে নিন। ই-ফাইলিং হোমপেজে যান। ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করুন। এখন E-file ট্যাবে যান এবং Income Tax Returns-এ ক্লিক করুন। সেখানে View Filed Returns অপশন থেকে সংশ্লিষ্ট অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার নির্বাচন করুন। সেখানে রিফান্ড স্ট্যাটাস দেখা যাবে। View Details-এ ক্লিক করলে সম্পূর্ণ রিটার্ন প্রক্রিয়ার লাইফসাইকেল দেখা সম্ভব।
7
10
রিফান্ড দেরির সম্ভাব্য কারণ। TDS/TCS ক্রেডিটের অমিল
ফর্ম ২৬এএস, AIS এবং রিটার্নে প্রদত্ত তথ্যের মধ্যে অমিল থাকলে রিফান্ড আটকে যায়। ভুল ডিডাকশন দাবি,
অনেক করদাতা ভুলভাবে ধারা ৮০সি বা অন্যান্য কর সুবিধা দাবি করেন, যার ফলে রিটার্ন পুনঃপরীক্ষণের প্রয়োজন হয়।
8
10
বেতনভুক্ত করদাতার ভুল অ্যালাউয়েন্স দাবি, যদি HRA বা অন্যান্য ভাতার ক্ষেত্রে ভুল দাবি থাকে, রিফান্ড স্থগিত হতে পারে।
9
10
ভুল ইনকাম রিপোর্ট করে ডিফেক্টিভ রিটার্ন দাখিল, আয় কম দেখানো বা কোনো ইনকাম বাদ পড়লে সিস্টেম রিটার্নকে ‘Defective’ হিসেবে চিহ্নিত করে।
10
10
আগের বছরে ভুল বা ভুয়া ডিডাকশন দাবি করা, এই ধরনের ক্ষেত্রে এবার রিটার্ন অধিকতর কঠোরভাবে যাচাই করা হয়, ফলে রিফান্ড বিলম্বিত হতে পারে।