২০০৫ সালে হিন্দু উত্তরাধিকার আইন সংশোধন করে মেয়েদের জন্য সম্পত্তিতে সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। অবিবাহিত মেয়েরা এখনও ছেলেদের মতই তাঁর বাবার সম্পত্তির সমান অংশীদার। ফলে সম্পত্তি নিয়ে বিপত্তি-আইনি বিবাদও বেড়েছে।
2
6
আইনে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও কোনও মেয়েকে কখন তাঁর বাবা কিংবা দাদা তাদের পারিবারিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে পারে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
3
6
যদি মেয়ের বাবা একটি উল্লেখযোগ্য উইল করে যান, তাহলে আইন ব্যতীত অন্যরকম অবস্থা হতে পারে। যদি কোনও বাবা উইলে লিখে যান যে, তাঁর স্ব-উপার্জিত সমস্ত সম্পদ তাঁর ছেলে পাবে, তাহলে মেয়েরা এই নির্দেশ আইনত চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন না। তবে এই উইল সম্পূর্ণরূপে বৈধ হতে হবে এবং এই নিয়ম বংশগত বা পারিবারিক সম্পদের ক্ষেত্রে কাজ করবে না।
4
6
কোনও ব্যক্তি যদি তাঁর নিজের আয়ের মাধ্যমে কোনও সম্পত্তি কিনে থাকেন সেটিকে স্ব-উপার্জিত সম্পত্তি বোঝায়। কেউ তাঁর স্ব-উপার্জিত সম্পত্তি যে কোনও ব্যক্তিকে দিতে পারেন। তবে পৈতৃক বা বংশ পরম্পরায় প্রাপ্ত সম্পত্তিতে কারও একার পূর্ণ মালিকানা থাকে না। এই সম্পত্তিতে ছেলে-মেয়ের সমানাধিকার থাকবে।
5
6
মেয়ের মায়েরা তাদের জীবদ্দশায় মেয়েকে সোনা-গয়না, বাড়ি বা অন্যান্য সম্পত্তি দিয়ে দেন। এক্ষেত্রে দু'লক্ষ টাকার অধিক মূল্যের সম্পদ হলেই আয়কর আইনের অধীনে চেক বা ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার করতে হবে, নাহলে বড় জরিমানা হতে পারে। হিন্দু উত্তরাধিকার আইন অনুসারে স্বামীর মৃত্যু হলে তাঁর মা (শাশুড়ি) জীবিত থাকলে তাঁর সঙ্গে ভাগাভাগি করে স্বামীর সম্পত্তির অধিকার পাবেন স্ত্রী।
6
6
তবে সেই ব্যক্তির বোন থাকলে তারা দ্বিতীয় শ্রেণির উত্তরাধিকারী হিসেবে চিহ্নিত হবেন। প্রথম শ্রেণির উত্তরাধিকারী জীবিত না থাকলেই কেবল তারা সম্পত্তির ভাগ পাবেন। তাই বহু আইনজীবী ও বিশেষজ্ঞরা এক্ষেত্রে বাবা-মায়েদের তাদের জীবদ্দশাতেই একটি স্পষ্ট উইল করে যেতে বলেনষ অন্যথায় গিফট ডিড করার পরামর্শও দেন।