১) একমাত্র মিষ্টি জলের হ্রদ: বৈকাল হ্রদ হলো পৃথিবীর মাত্র তিনটি মিষ্টি জলের সীল প্রজাতির একটি। এর নাম হলো বৈকাল সীল বা নেরপা। এটি বিশ্বের একমাত্র সীল, যা সম্পূর্ণরূপে মিষ্টি জলে ভরাট। সমুদ্র থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে এর অবস্থান।
2
5
২) 'সক্রিয় ফাটল হ্রদ': বৈকাল হ্রদ একটি 'মহাদেশীয় ফাটল অঞ্চল'-এ অবস্থিত। এর অর্থ হলো, পৃথিবীর ভূত্বকের টেকটোনিক প্লেটগুলি এই স্থানটিতে ধীরে ধীরে একে অপরের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। এই কারণে হ্রদের গভীরতা প্রতি বছর প্রায় কয়েক সেমি হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অঞ্চলে ছোটখাটো ভূমিকম্প প্রায়শই ঘটে থাকে। এটি অত্যন্ত সক্রিয় ভূতাত্ত্বিক স্থান।
3
5
৩) প্রাকৃতিক মিথেন ক্যাপ: শীতকালে যখন বৈকাল হ্রদ জমে বরফে পরিণত হয়, তখন হ্রদের বরফের উপরিতলে এবং জলের নিচে জমাট বাঁধা মিথেন গ্যাসের গোলাকার বুদবুদ দেখা যায়। হ্রদের তলদেশে থাকা মিথেন গ্যাস ঠান্ডা জলের কারণে বরফের নিচে আটকা পড়ে যায়। ফলে বায়ুমণ্ডল নির্গত হতে পারে না। এই বরফের বুদবুদগুলি হ্রদের ইকোসিস্টেমের এক অনন্য অংশ।
4
5
৪) অত্যন্ত স্বচ্ছ জল: বৈকাল হ্রদের জল বিশ্বের সবচেয়ে স্বচ্ছ জলগুলির মধ্যে অন্যতম। এর কারণ হলো হ্রদে স্থানীয় একপ্রকার ক্ষুদ্র চিংড়ি (এন্ডেমিক এপিশুরান চিংড়ি) যা প্রতিনিয়ত জল থেকে শৈবাল এবং অন্যান্য জৈব পদার্থ ফিল্টার করে জলকে বিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে।
5
5
৫) জীবন্ত জন্ম দেওয়া মাছ: বৈকাল হ্রদে স্থানীয় একধরনের মাছ রয়েছে যার নাম গোলোমিয়াঙ্কা বা বৈকাল তেলমাছ। এই মাছের শরীরে কোনও আঁশ নেই, বরং এর প্রায় এক তৃতীয়াংশ ওজন চর্বি। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো এটি ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি জীবিত বাচ্চা প্রসব করে। এটি বিশ্বের মাত্র কয়েকটি তেলমাছ প্রজাতির মধ্যে অন্যতম, যারা সরাসরি জীবিত বাচ্চা জন্ম দেয়।