বসন্তেই গরমের আমেজ। বাড়ছে তাপমাত্রা। তবে পারদই নয়, দেদার গরম বাড়াচ্ছে সোনার দামও। প্রায় ৯০ হাজারের দুয়ারে ১০ গ্রাম সোনার দাম। এদিকে বাশাখের কথা মাথায় রেখে চলছে বিয়ের মরশুমের প্রস্তুতি। সোনা তো কিনতেই হবে। তাহলে উপায়?
2
8
অনেকেই ছেলে বা মেয়ের বিয়ের জন্য নতুন গহনা কিনতে গিয়ে নিজেদের পুরনো গহনা বিক্রি করেন। তার সঙ্গে অতিরিক্ত কিছু টাকা যোগ করেই নতুন গহনা তৈরি করেন বা কেনেন। তবে এক্ষেত্রে অনেকেই অভিযোগ থাকে, পুরনো সোনা বিক্রি করলে দাম পাওয়া যায় না।
3
8
নিত্যদিনই দাম বাড়লেও, সোনার চাহিদা কখনও কমে না। বিয়ে হোক বা অন্য অনুষ্ঠানে, সোনার দরকার পড়েই। আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের মূল্য ওঠানামা, তেলের দাম, মুদ্রাস্ফীতি, যুদ্ধ সহ নানা কারণে সোনার দাম ওঠানামা করে। একেক দেশেও সোনার দাম ভিন্ন হয়।
4
8
যেমন ভারতের থেকে দুবাইয়ে সোনা তুলনামূলকভাবে সস্তা। দামের ওঠাপড়ায় ধরুন নতুন কোনও গহনার দাম, যার ওজন ১০ গ্রাম, তার দাম পড়ছে ৮০ হাজার টাকা, সেই ওজনেরই পুরনো কোনও গহনা বিক্রি করতে গেলেই আবার তখন দাম মেলে ৬০ হাজার টাকা। একই ওজন যখন, তাহলে নতুন সোনার দাম ৮০ হাজার, এদিকে পুরনো সোনার দাম ৬০ হাজার কেন হয়?
5
8
নিয়ম অনুযায়ী, সোনা বিক্রি করার সময় ২০ শতাংশ দাম কমিয়ে দেওয়া হয়। শুধু সোনা বিক্রিই নয়, সোনা বদলানোর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর হয়। গহনা কেনার একদিন বা সাতদিনের মধ্যে গহনা বদল করলে, অনেক দোকানে এই ২০ শতাংশ দাম কমানো হয় না। তবে গহনা কেনার মতো বিক্রির সময়েও মেকিং চার্জ ও বিভিন্ন কর কেটে নিয়েই দাম জানানো হয়।
6
8
কেন কম দাম দেওয়া হয়? স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কথায়, আগের সোনার গহনায় অনেক বেশি খাদ মেশানো থাকত। সোনার সঙ্গে রুপো, তামার মতো নানা ধাতু মেশানো থাকত। বিশুদ্ধতা কম হওয়ার কারণেই পুরনো সোনা বিক্রি করতে গেলে, কম দাম পাওয়া যায়।
7
8
২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনায় বিশুদ্ধ সোনা থাকে ১৪ আনা ২ রতি। ১৮ ক্যারেটের সোনায় ১২ আনা বিশুদ্ধ সোনা থাকে। সেখানেই পুরনো গহনায় ২২ ক্যারেটে মাত্র ১২ আনা সোনা থাকে, যা নতুন গহনায় ১৮ ক্যারেটের সোনার সময়।
8
8
পুরনো গহনা বিক্রি করা লাভ না ক্ষতি? তবে হিসাব করলে দেখা যাবে, পুরনো দিনে ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়ত ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। সেখানেই এখন ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা। সেই হিসাব করলে খুব বেশি ক্ষতিও হয় না পুরনো গহনা বিক্রি করে নতুন গহনা কিনতে।