সরকারি অফিসে যদি কখনও গিয়ে থাকেন তাহলে দেখবেন, নানা জায়গায় জমে রয়েছে পুরনো ফাইল। বছরের পর বছর ধরে ধুলো জমেছে সেগুলির উপর। এক কোণায় পড়ে রয়েছে ভাঙা চেয়ার, আলমারি ইত্যাদি। এই সব পুরনো বাতিল জিনিস বিক্রি করেই কোটি কোটি টাকা ঘরে তুলেছে কেন্দ্র।
2
9
গত মাসে এক বিশাল পরিচ্ছন্নতা অভিযানের সময় নরেন্দ্র মোদি সরকার বর্জ্য বিক্রি করে ৮০০ কোটি টাকা আয় করেছে। যা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজশন (ইসরো)-র চন্দ্রযান-৩-এর বাজেটের চেয়েও বেশি।
3
9
ইসরোর সেই অভিযানের বাজেট ছিল ৬১৫ কোটি টাকা। এই টাকা ব্যয় করে ২০২৩ সালের ২৩ অগস্ট প্রথম দেশ হিসাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটির পাঠানো মহাকাশযানের ‘বিক্রম’ ল্যান্ডার।
4
9
কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবরে প্রশাসনিক ভবন থেকে বর্জ্য বিক্রি করে এই রেকর্ড অর্থ উপার্জন করেছে। চার বছর আগে ২০২১ সালে এই অভিযানের সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। তখন থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত সরকার প্রায় ৪,১০০ কোটি টাকা আয় করেছে।
5
9
এই বছর ২ থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে অভিযানটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সর্বাধিক ২৩২ লক্ষ বর্গফুট জায়গা খালি করা হয়েছে এবং ২৯ লক্ষ কাগজের ফাইল বিক্রি করেছে কেন্দ্র। গত চার বছরের তুলনায় এই বারের অভিযান ছিল বৃহত্তম। এর মাধ্যমে ১১.৫৮ লক্ষ সরকারি অফিসকে পরিষ্কার করা হয়েছে।
6
9
প্রশাসনিক সংস্কার ও জনঅভিযোগ বিভাগ (ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্মস অ্যান্ড পাবলিক গ্রিভান্সেস বা ডিএআরঅ্যান্ডপিজি)-এর তত্ত্বাবধানে, বিদেশে মিশন-সহ ৮৪টি মন্ত্রক এবং বিভাগের মধ্যে আন্তঃমন্ত্রক সমন্বয় সাধন করে বাতিল কাগজ বিক্রি করা হয়েছে। মনসুখ মান্ডব্য, কে রামমোহন নাইডু এবং জিতেন্দ্র সিং গোটা প্রক্রিয়াটির তত্ত্বাবধান করেছিলেন।
7
9
২০২১ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে, কেন্দ্র পাঁচটি সফল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে যা স্বচ্ছতা (পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা) প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এবং সরকারে ঝুলে থাকা কাজ কমাতে সাহায্য করেছে।
8
9
এই পাঁচটি অভিযানে ‘স্বচ্ছতা’ অভিযানের আওতায় ২৩.৬২ লক্ষ অফিসকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ৯২৮.৮৪ লক্ষ বর্গফুট জায়গা মুক্ত করা হয়েছে। মোট ১৬৬.৯৫ লক্ষ ফাইল বাতিল করা হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ বর্জ্য বিক্রি করে ৪,০৯৭.২৪ কোটি টাকা আয় করেছে কেন্দ্র।
9
9
এই বছর বিভিন্ন মন্ত্রকের মন্ত্রীপরিষদ এবং প্রতিমন্ত্রীরা বিষয়টি পর্যালোচনা করেছেন। বিভিন্ন কর্মীদের সঙ্গে তাঁরা নিয়মিত আলোচনা করেছেন। জনসাধারণের অভিযোগের ঝুলে থাকা সমস্যা কমাতে একটি মন্ত্রী-পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠকও হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই অভিযানের জন্য বিশেষ উৎসাহ জুগিয়েছেন।