প্রাক্তন অভিনেত্রী তথা মডেল জারিন খান শুক্রবার, ৭ নভেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি দেন। এদিন তাঁর মুম্বইয়ের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। জানা গিয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এদিন প্রয়াত হন বর্ষীয়ান, প্রাক্তন অভিনেত্রী। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। সুজান খানের মায়ের শেষকৃত্য সেদিনই হয়েছে। 

প্রাক্তন প্রযোজক-পরিচালক সঞ্জয় খানের স্ত্রী জারিন খানের শেষকৃত্য হিন্দু রীতিনীতি মেনে পালন করা হয় এদিন। সুজান খানের ভাই জায়েদ খান এদিন মায়ের মুখাগ্নি করেন। স্বাভাবিক ভাবেই মায়ের শেষকৃত্যের সময় ভেঙে পড়েন জায়েদ, সুজানরা। 

হৃতিক রোশনের প্রাক্তন শাশুড়ির শেষকৃত্যের একাধিক ছবি, ভিডিও ভাইরাল হতেই অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে জারিন খানের শেষকৃত্য কেন হিন্দু রীতি মেনে হল? আসলে জারিনের জন্ম হয়েছিল পার্সি পরিবারে। বিয়ের আগে তাঁর নাম ছিল জারিন কত্রক। পার্সি হলেও, হিন্দু রীতিনীতি মানা হতো তাঁদের বাড়িতে। তাই প্রাক্তন অভিনেত্রী, মডেলের মৃত্যুর পর হিন্দু রীতি অনুযায়ী তাঁর মুখাগ্নি করা হয়। 

এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভাল, অতীতে একটি সাক্ষাৎকারে জারিন খান নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি না হিন্দু, না মুসলিম। বরং তিনি পার্সি। সেই ধর্মই পালন করতেন তিনি। তবে মাত্র ১৪ বছর বয়সে আলাপ হয় তাঁর পড়শি সঞ্জয় খানের সঙ্গে। প্রেমে পড়েন তাঁরা। পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে বিয়েও করেন। 

জারিন খানের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সঞ্জয় খানের বাড়িতে শুক্রবার একাধিক বলিউড তারকাকে আসতে দেখা গিয়েছিল। তাঁর প্রাক্তন জামাই হৃতিক রোশন এবং তাঁর বর্তমান প্রেমিকা সাবা আজাদ এসেছিলেন শ্রদ্ধা জানাতে। বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও সুজান এবং হৃতিকের এখনও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, ফলে এমন কঠিন সময়ে বন্ধুর পাশে থাকতে দেখা যায় বলিউডের 'গ্রিক গড'কে। এসেছিলেন ববি দেওল, জয়া বচ্চন, শ্বেতা বচ্চন, জ্যাকি শ্রফ, নার্গিস ফাখরি, রকুলপ্রীত সিং, জ্যাকি ভাগনানি, প্রমুখ। ববি দেওলকে এদিন জারিন খানের বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখা যায়।

জারিন খান ১৯৬০ এর দশক থেকে ১৯৭০ এর গোড়ার দিক পর্যন্ত চুটিয়ে অভিনয় এবং মডেলিং করেছেন। তিনি কাজ করেছেন 'এক ফুল দো মালি', 'তেরে ঘর কে সামনে', ইত্যাদি ছবিতে। কেবল, অভিনয় বা মডেলিং নয়। জারিন খান বইও লিখেছেন। একটা সময় প্রচার, খ্যাতির আলোয় থাকলেও, আচমকাই সমস্ত কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন জারিন খান।