সংবাদ সংস্থা মুম্বই: প্রায়দিনই খবরের শিরোনামে থাকছে ছাবা। কখনও বক্স অফিসে তার অপ্রতিরোধ্য অশ্বমেধ দৌড়ের জন্য, কখনও বা চরম বিতর্কের সুবাদে। এবারে যেমন ছাবা র নির্মাতাদের উদ্দেশ্যে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করার হুমকি দিলেন মারাঠা যোদ্ধা গণজি এবং কানহোজির বংশধররা! অভিযোগ, ছাবা তে নাকি তাঁদের পূর্বপুরুষের বিষয়ে ভুল তথ্য নিবেদন করা হয়েছে। যার ফলে ক্ষুণ্ণ হয়েছে তাঁদের বংশমর্যাদা! অভিযোগকারীদের দাবি, ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে ছাবা তে। ছবিতে যেমন দেখানো হয়েছে তাঁদের পূর্বপুরুষদের বিশ্বাসঘাতকতার সুবাদেই ছত্রপতি শম্ভাজি মহারাজকে আটক করতে পেরেছিলেন মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব, তা সর্বৈব মিথ্যা! 

 

 

এই আইনি হুমকির পরপরই নাকি ক্ষমা চেয়েছেন ‘ছাবা’র পরিচালক লক্ষ্মণ উটেকর। খবর, অভিযোগকারীদের কাছে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। সঙ্গে নাকি বলেছেন এই ছবিতে কোথাও তিনি গণজি এবং কানহোজির গ্রামের নাম পর্যন্ত উল্লেখ করেননি। তবু অজান্তে তাঁর ছবি যদি কাউকে আঘাত দিয়ে থাকে, তার জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। 

 

এর আগে ছাবা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন শিবাজির বংশধর এবং প্রাক্তন মারাঠা সাংসদ শম্ভাজিরাজে ছত্রপতি। খানিক ক্ষুব্ধ-ই তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন, মারাঠা সংস্কৃতিতে এই বিশেষ বাদ্যযন্ত্র ব্যবহারের উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ছত্রপতি তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে লেজিম-এর তালে নেচেছিলেন কি না, সেটা তো কোথাও লেখা নেই! একই ভাবে আপত্তি রয়েছে ঐতিহাসিক দুই চরিত্রের পোশাক নিয়েও। তাঁর মত ছিল, এই ছবি মুক্তির আগে প্রথম সারির ইতিহাসবিদদের দেখানো হোক। যদি ঐতিহাসিক কোনও তথ্যের ভুল-ত্রুটি থাকে, তাহলে তা বাদ দেওয়া যাবে অথবা শুধরে নেওয়া যাবে। অন্যথায় দর্শকের কাছে ভুল বার্তা চলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে কোনও ঐতিহাসিক ভুল থাকলে ছবি প্রদর্শিত হবে না। এই প্রসঙ্গে রাজ ঠাকরে-ও নিজের অসন্তোষের কথা জানিয়েছিলেন। এরপর অবশ্য ছবি থেকেই লেজিম নাচের দৃশ্যটি সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দেন নির্মাতারা।