নিজস্ব সংবাদদাতা: 'পুরাতন' ছবির মাধ্যমে ১৪ বছর পর নিজের প্রিয় বাংলা ছবিতে অভিনয় করলেন শর্মিলা ঠাকুর। ছবি মুক্তির দিন কলকাতায় এলেন তিনি এবং এই ছবি ঘিরে নানা অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন।

 


শর্মিলা ঠাকুরের কথয়,"শহর থেকে অনেকটা দূরে গঙ্গার ধারে অসাধারণ একটা বাড়িতে শুটিং হয়েছিল। প্রথম দেখায় সেটাই ভাল লেগে গিয়েছিল। তবে সিড়ি দিয়ে অনেক ওঠানামা করতে হয়েছিল, যা আর এই বয়সে সম্ভব নয়। শারীরিক কারণেই তাই ভেবেছি এটাই আমার শেষ ছবি। এরপর আর আগের মত কাজ করতে পারব না।  তবে প্রযোজক হিসাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আমায় কোনও অভিযোগ করতে দেননি। আমায় কোনওকিছু নিয়েই বলতে হয়নি। খাওয়া দাওয়া হোক বা যেকোনও কিছু আমি বলার আগেই আমার কাছে পৌঁছে গিয়েছে। প্রযোজক ঋতুপর্ণা আমায় ট্যানট্রাম করার সুযোগই দেয়নি। এরকম প্রযোজক সহজে পাওয়া যায় না।"

 

বাস্তবে শর্মিলা ঠাকুর একাকীত্ব উপভোগ করেন নাকি কষ্ট পান? অভিনেত্রীর কথায়, "যা করেছি তা নিয়ে এখন কেন কষ্ট পাব? অতীত আমায় জড়িয়ে আছে তা আমার বাড়ি গেলেই বোঝা যায়। তবে অতীত নিয়ে বাঁচতে আমি ভালবাসি না। এই বয়সটা উপভোগ করছি, সেটাই করা উচিত।"

 


বাংলায় ছবি মানে তাঁর কাছে একটা আলাদাই আনন্দ, সেটাও জানালেন শর্মিলা ঠাকুর। বললেন, "বাংলা ভাষায় নিজের মত করে চরিত্রকে তুলে ধরতে পারি, যা অন্য ভাষায় সেই ভাবে সম্ভব হয় না। তাই বাংলা ছবি সব সময় আমার অত্যন্ত কাছের।"


শারীরিক অবস্থার কথা ভেবেই নতুন কোনও ছবিতে শুটিং করার কথা এখনই ভাবছেন না শর্মিলা ঠাকুর। তবে জীবনকে সব সময় উপভোগ করে এসেছেন তিনি। তাই তিনি জানান, এই বয়সেও নতুন করে জীবনকে অনুভব করেন।