প্লুটোর মৃত্যুকে ঘিরে তোলপাড় সমাজমাধ্যম। 'প্লুটো'র চরিত্রে দর্শক দেখেছেন অভিনেতা পার্থ বেরাকে। এতদিন প্লুটো ও মিঠির প্রেম নিয়ে তেমন চর্চা না হলেও তাদের অসমাপ্ত প্রেম নিয়ে এখন কথা উঠছে। অনেক নেটিজেন ভেবেছিলেন হয়তো গল্পের টুইস্টে প্লুটোকে আবারও বাঁচিয়ে তুলবেন লীনা। তবে প্লুটোর শেষযাত্রার সঙ্গী হয়ে রয়ে গেলেন সিরিয়ালপ্রেমীরা।
এক্ষেত্রে বলাই বাহুল্য প্লুটোর মৃত্যুতে বেশ খানিকটা টিআরপি বেড়েছে 'চিরসখা'র। হঠাৎ এমন একটা প্লট যে গল্পে আসতে পারে তা যেন ভাবতেই পারেননি দর্শক। তাই জনপ্রিয়তা অনেক গুণ বেড়েছে পার্থর। এই ধারাবাহিকের গল্পে এতদিন মিঠি ও মৌ-এর চরিত্রকে যেমনভাবে দেখেছেন দর্শক। এই মোড়ের পর যেন সব হিসেবে বদলে গিয়েছে দর্শকের। তবে প্লুটোর মতো এরকম অনেক মুখচোরা মানুষ আছেন, যাঁরা অন্যের সিদ্ধান্তে চলতে বাধ্য হন। কেউ মেনে নেন নিজের ভবিতব্য, কেউ আবার এই দুনিয়ার মায়া কাটিয়ে ফেলেন। কিন্তু 'চিরসখা' দর্শকের চোখে আঙুল দিয়ে ঠিক কী দেখাতে চাইল? কেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কলমে এমন এক মর্মান্তিক ঘটনা ফুটে উঠল? তা জানার অপেক্ষায় দর্শক মহল।

এই মাঝেই মিঠি, কমলিনীর বিরুদ্ধে চলে গেল। এতদিন কেউ কমলিনীকে না বুঝলেও মিঠি মাকে বুঝত। সে কোনওদিন মায়ের বিরুদ্ধে যায়নি। কিন্তু হঠাৎ কেন মায়ের বিরুদ্ধে চলে গেল সে? কী কারণে মাকে ভুল বুঝছে সে? তবে কি প্লুটোর মৃত্যুই তাকে বদলে দিল? যদিও বরাবরের মতো কমলিনীর পাশে রয়েছে স্বতন্ত্র। আত্মীয় থেকে কী করে আত্মার আপন হয়ে উঠেছে স্বতন্ত্র? কমলিনীর পাশে কীভাবে দাঁড়িয়েছে সে? সেটাই এবার উঠে এল।
কমলিনী যখন তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে একদম একা হয়ে গিয়েছিল, তখন তার পাশে কেউ ছিল না। ছেলেমেয়েকে শহরের নামী স্কুলে ভর্তি করার সময় বিপাকে পড়েছিল কমলিনী। প্রিন্সিপাল প্রশ্ন করেছিল তাকে, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ সে কীভাবে একা হাতে সামলাবে? তখন অসহায় হয়ে পড়ে সে। সেই সময় তার পাশে এসে দাঁড়ায় নতুন ঠাকুরপো। বুবলাই, বাবিল ও মিঠির পড়াশোনার সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয় সে। এভাবেই পাশে এসে দাঁড়ায় স্বতন্ত্র।
আরও পড়ুন: বড়পর্দায় আয়েন্দ্রী রায়! নায়িকা না খলনায়িকা? কোন চরিত্রে হিরোর পাশে দেখা মিলবে অভিনেত্রীর?
ছোট ছোট বিপদে কমলিনীর পাশে দাঁড়িয়েছে স্বতন্ত্র। আগলে নিয়েছে কমলিনীর তিন ছেলে-মেয়েকে। এভাবেই সে কমলিনীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে উঠেছে। মাঝেমধ্যেই এখন পিছনে ফিরে দেখলে এইসব কথা মনে পড়ে যায় কমলিনীর।
সুন্দর এক বন্ধুত্বের গল্প বলে স্টার জলসার 'চিরসখা'। যে বন্ধুত্বের শেষ নেই, শুধুই আছে একে অপরের প্রতি সম্মান ভালবাসা এবং অবশ্যই নির্ভরশীলতা। এমনই দুই বন্ধুর চরিত্রে দেখা যাচ্ছে সুদীপ মুখোপাধ্যায় এবং অপরাজিতা ঘোষ দাসকে। এমন না বলা প্রেম বন্ধুত্বের রূপ নিয়ে থেকে গিয়েছে আজীবন। তবে ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে এমন গল্প সংখ্যায় বেশ কম। তাই শুরুর পর থেকে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছে এই ধারাবাহিক।
