শুরু থেকেই টিআরপি তালিকায় বেশ পাকাপোক্ত জায়গা ধরে নিয়েছে জি বাংলার ধারাবাহিক 'চিরদিনই তুমি যে আমার'। 'অপু-আর্য'র কেমিস্ট্রি মন কাড়ছে দর্শকের। গল্পে একটু একটু করে অপুকে ভালবেসে ফেলে আর্য। বাস্তবে নায়ক-নায়িকা অর্থাৎ জিতু-দিতিপ্রিয়ার সম্পর্কের টানাপোড়েন যতই থাকুক না কেন, ধারাবাহিকে তার প্রভাব মোটেই পড়ে না।
এদিকে, ধীরে ধীরে পূর্বজন্মের স্মৃতি ফিরে আসছে অপর্ণার। মাঝেমধ্যেই এমন অনেককিছু চোখের সামনে ভেসে ওঠে তার, যার কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পায় না অপু। এর মধ্যেই প্রকাশ্যে আসা নতুন প্রোমোয় দেখা গেল গল্পের নতুন মোড়।
এক বৃষ্টির রাতে অপুর সঙ্গে দেখা হয় আর্যর। তখন অপু তাকে এড়িয়ে যেতে চায়। কিন্তু আর্য কথা দেয় যে, সে অপুকে এবার সব সত্যিটা বলে দেবে। রাজনন্দিনীর কথা জানতে চায় অপু। আর্য জানায়, সে তাঁর স্ত্রী! এই কথা শুনে অপু, আর্যকে বলে যে এতদিন কেন সে এই সত্যিটা চেপে ছিল? কেন তাকে জানতে দেয়নি যে সে বিবাহিত? কিন্তু আর্য বলে, সে বিবাহিত ছিল। এখন আর নেই। তাহলে এখন কোথায় রাজনন্দিনী? অপুর এই প্রশ্নের উত্তর আর দিতে পারে না আর্য।

অপুকে সবটা বলে ফিরে আসছিল আর্য। আনমনা হয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে অ্যাক্সিডেন্ট ঘটিয়ে ফেলে সে। মাথায় চোটও লাগে তার। যদিও খানিকটা সুস্থ হতেই ফের বিপাকে পড়ে সে। জানতে পারে অপর্ণা নিখোঁজ। হাসপাতাল থেকেই ছোটে সে অপর্ণাকে খুঁজতে। আর্যর মা, তাকে আশ্বাস দেয় যে সেই একমাত্র পারবে অপুকে ফিরিয়ে আনতে। এদিকে দেখা যায় অপর্ণা একটি অন্ধকার ঘরে বন্দি। সেখানে একজন আর্যর ছবিকে লক্ষ্য করে 'টার্গেট সেট' করছে। সেই ঘরের দরজা ভেঙে একেবারে হিরোর অবতারে ঢোকে আর্য। কে এই লোক? অপর্ণা না আর্য, কার সঙ্গে তার শত্রুতা?
কিছুদিন আগে দেখা যায়, আর্য ঝড়ের রাতে অপুকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে যায়। তখন ঝড়-জল-বৃষ্টিতে আর্যর গাড়ি খারাপ হয়ে যায়। সেই সময় একটা বাড়িতে আর্য, অপর্ণাকে এনে সেখানে কিছুক্ষণ থাকতে বলে। আর্য গাড়ি ঠিক করতে বেরিয়ে গেলে অপর্ণার মনে মনে ভয় করে। এর মাঝেই তার মনে হয়, কেউ যেন বলছে এই বাড়িতেই সে তার অতীতের সবকিছুর সন্ধান পাবে।
ভয়ে ভয়ে একটা ঘরে ঢুকে পড়ে অপু। ধুলো ভরা ঘরে হঠাৎই আয়নায় চোখ পড়ে তার। নিজেকে কেমন যেন অচেনা লাগতে শুরু করে। এমন সময় দমকা হাওয়ায় একটা ফটোফ্রেম পড়ে যায়। অপুর সেটা তুলে দেখে আর্যর ছবি। ছবিতে শুধু আর্য নেই, রয়েছে আরও একজন। আর্যর স্ত্রী? কে সে? ঠিক সেই সময় আর্য ওই ঘরে ঢোকে। অপু তাকে জিজ্ঞাসা করে যে, আর্য আসলে কে? সত্যিটা কি অপুকে বলতে পারবে আর্য?
গল্পের মোড়ে এবার জানা গেল তা। সেদিন অপু অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায় তাকে সত্যিটা বলতে গিয়েও বলতে পারেনি আর্য। সঙ্গে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল কিঙ্কর। আর্যকে বারবার সবটা বলতে বারণ করেছিল সে। তাতে নাকি সে ও আর্য দু'জনেই বিপদে পড়বে। কী আছে অতীতের গল্পে? যার জন্য এত ভয় আর্য ও কিঙ্করের?
তবে কি অপুই পূর্বজন্মের রাজনন্দিনী? আর আর্য ভিলেন? আসলে মারাঠি ধারাবাহিকের অনুকরণে তৈরি এই গল্প। ওই ধারাবাহিক অনুসারে গল্পের মোড়ে এমনটাই হওয়ার কথা। সেই অনুযায়ী এবার কোন খাতে বইবে অপু-আর্যর জীবন? তা তো সময়ই বলবে। এদিকে, আর্যর স্ত্রীর রাজনন্দিনীর চরিত্রে কোন নায়িকাকে দেখা যাবে তা নিয়ে চলছে তুমুল জল্পনা। নেটপাড়ায় উঠে আসছে একাধিক নায়িকার নাম। তবে শেষমেশ কাকে দেখা যাবে, সেই অপেক্ষায় দিন গুনছেন দর্শক।
