নিজস্ব সংবাদদাতা: আদৃতের স্মৃতি ফিরে আসছে ধীরে ধীরে। শুভলক্ষ্মীকে এত কাছ থেকে দেখেও চিনতে পারবে কি সে? নাকি আবারও কোনও চক্রান্তের মুখে পড়বে আদি-শুভ? জানতে আজকাল ডট ইন পৌঁছে গিয়েছিল টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে, স্টার জলসার ধারাবাহিক 'গৃহপ্রবেশ'-এর শুটিং ফ্লোরে।
ফ্লোরের বাইরের ছবি
বাড়ির ছেলে আদৃত ফেরায় পরিবারের সকলে খুব খুশি। তার মঙ্গল কামনায় বাড়িতে সত্যনারায়ণ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে, জিনিয়ার ষড়যন্ত্রে ফের বিপাকে পড়তে চলেছে শুভ। চলছে একটানা সিন। কিন্তু এই মুহূর্তে নায়ক-নায়িকা নেই। ফ্লোরের বাইরে বিকেলের হাওয়া খেতে দেখা গেল পর্দার 'আদৃত' ওরফে সুস্মিত মুখোপাধ্যায়কে। ফ্লোরের এসি ছেড়ে প্রাকৃতিক হাওয়া? প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতেই এক গাল হেসে সুস্মিতের জবাব, "বড্ড দমবন্ধ লাগছিল। সবসময় ফ্লোরে থাকলে বাইরে কী হচ্ছে বোঝাই যায় না। তাই কাজ না থাকলে ফ্লোরের বাইরেই থাকতে পছন্দ করি।" নায়ককে তো পাওয়া গেল, নায়িকা কোথায়? ফ্লোর ম্যানেজার এসে নায়িকার ঘর দেখিয়ে দিয়ে গেলেন। সুস্মিতও চললেন একসঙ্গে আড্ডা দিতে। ঘরে ঢুকতেই যেন অতিথি আপ্যায়ন শুরু 'শুভলক্ষ্মী' ওরফে ঊষসী রায়ের।
আদৃত-শুভর সংসার
'শুভ'র মতো ঊষসীও কি সংসারী? প্রশ্ন শুনে কুশন দিয়ে মুখ ঢাকলেন নায়িকা। বললেন, "একেবারেই না। এখনও বাবা-মা'র কাছে থাকি তো, জল গড়িয়েও খাই না। যদিও ঘরের টুকটাক কাজ করার ইচ্ছে হয়, তবে মা করতে দেয় না। ছোট থেকেই বড্ড আদুরে আমি।" ঊষসীর কথা শেষ হতেই সুস্মিত বলেন, "আমিও আদুরে, তবে নিজের কাজটা নিজে করে নিতে পছন্দ করি। একার সংসারটা একাই সামলাই।" এখন তো পর্দায় সুস্মিত সব ভুলে গিয়েছেন, বাস্তবেও কি এরকম কোনও কিছু ভুলে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন? আদৃতের জবাব দেওয়ার আগেই ঊষসী জোরে হেসে বলেন, "ওরে বাবা! এটা তো আমার সঙ্গে প্রায়ই হয়। হঠাৎ কেউ এসে যদি বলেন 'আমায় চিনতে পারছো? আমি অমুক!' ব্যস! এখানেই সব গুলিয়ে যায়। কিছুতেই মনে করতে পারি না কোথায় দেখেছি? কী সম্পর্ক আমার সঙ্গে? বহুবার মেকআপ দিতে গিয়ে ফলস পজিশনেও পড়েছি তাই।" "দাঁড়া এবার, প্রশ্নটা বোধহয় আমার জন্য ছিল!"- বললেন আদৃত। ঊষসীর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললেন, "আমার কোনওদিন এরকম হয়নি। এটাই বলার ছিল। আসলে ওকে বিরক্ত করতে খুব ভাল লাগে। তাই কথার মাঝে বলে বসলাম।" চোখ বড়বড় করে আদৃতের কথা শুনে হেসে ফেললেন ঊষসী। শুটিং ফ্লোর থেকেই বন্ধুত্ব আপনাদের, কাজের বাইরে একে অপরকে কতটা চিনলেন? আদৃতের কথায়, "অনেক ভাবতে হবে। কারণ ভাল কিছু বলতে হবে। ঊষসী শান্ত, বুদ্ধিমান। ওর সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যায়, যেটা একজন বন্ধু হিসাবে আমার ভাললাগে।" কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে ঊষসী বলেন, "আমি যে শান্ত, এই কথাটা মা শুনলে যে কী খুশি হবে! যাক গে! এতদিন আদৃতকে কাজের বাইরে যতটুকু চিনেছি, তাতে মনে হয়েছে ও খুব ভাল মনের মানুষ।" দু'জনেরই প্রশংসাপত্র দেওয়া শেষ, এবার শুটিং ফ্লোরে ফেরার পালা। তার আগে চলল হালকা টাচআপ।
