সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’-এ বক্সিং, সুইমিং, আর শরীরচর্চা একসাথে রপ্ত করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন কার্তিক আরিয়ান! বলিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেতা যেভাবে নিজেকে বদলে ফেলেছেন কবীর খানের ছবির জন্য, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন তাঁর ফিটনেস ট্রেনার রাহুল ভাট, অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের সৎ ভাই।

 

রাহুলের কথায়, ‘‘কার্তিকের স্ট্রেংথ ট্রেনিং নিয়ে কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। একেবারে শূন্য থেকে শুরু করতে হয়েছিল। সঙ্গে বক্সিং, সুইমিংও শিখেছে—সব মিলিয়ে একটা ফুল ট্রান্সফরমেশন! ও তো কোনও অ্যাথলিট না, টাইগার শ্রফ বা এমন কেউ না। কিন্তু যেটা করেছে, সেটা সত্যিই দারুণ।’’ জানা গেল, ট্রেনিং চলেছে টানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। তবে শুরুটা খুব একটা মসৃণ ছিল না। কার্তিক প্রথমে রাহুলের উপর ভরসা করতে পারছিলেন না।

 

 ‘‘শুরুতে কার্তিক আমার উপর সন্দেহ করত। যেমনটা আগে আমির খানের সঙ্গেও হয়েছিল। আসলে এই ইন্ডাস্ট্রিতে একসঙ্গে কাজ করার জন্য পরস্পরের প্রতি বোঝাপড়া, বিশ্বাস থাকাটা খুব দরকার। প্রথমে আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা সেরকম ছিল না।  কোচ আর অভিনেতার মধ্যে একটা বোঝাপড়া তৈরি না হলে কাজ সম্ভব নয়। সেই সুরটা বসতে সময় লেগেছে, কিন্তু ধীরে ধীরে তা দারুণ খোলতাই হয়েছিল।’’

 

কার্তিকের কিছু গুণে নিজেও মুগ্ধ রাহুল। বললেন, ‘‘ও ভীষণ সম্মান দিতে জানে, ঠিক সময়ে আসে, আর পুরোপুরি পেশাদার। এমন অনেক কিছু আছে, যেটা আমি ওর থেকে শিখেছি। যেমন নিজের প্রচার করতে পারা —ও এই দিকটায় অনেককে ছাড়িয়ে যায়! আমি তো এসব পারি না ওর মতো, আর যদি ওটাই আজকের দিনে তারকা হওয়ার মাপকাঠি হয়, তাহলে আমি তো কেবল এক জন ‘পহেলওয়ান’-ই থেকে যাব!’’

 

কার্তিকের শারীরিক রূপান্তর যেমন নজর কেড়েছে দর্শকের, ঠিক তেমনই রানের এই অজানা গল্পের এক ঝলকে বুঝিয়ে দেয়— লক্ষ্যে একাগ্রতা থাকলে, অসম্ভবও সম্ভব!