খোঁড়াচ্ছে ‘ধড়ক ২’? 

১ আগস্ট মুক্তি পেয়েছে শাজিয়া ইকবালের পরিচালনায় সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী ও তৃপ্তি দিমরি অভিনীত ছবি ‘ধড়ক ২’। কিন্তু প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর দুই দিনের বক্স অফিস রিপোর্ট বলছে, এই সিকুয়েলের শুরুটা বেশ মন্থর। কারণ এই ছবি এখনও ছোঁয়নি ১০ কোটি টাকার গণ্ডি!

 

স্যাকনিল্ক -এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মুক্তির দ্বিতীয় দিনে ছবিটি আয় করেছে মাত্র ৩.৭৫ কোটি টাকা, যেখানে প্রথম দিনের সংগ্রহ ছিল ৩.৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ দুই দিন মিলিয়ে ছবির মোট সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৭.২৫ কোটি টাকা, যা শোনা গিয়েছিল তার চেয়ে অনেকটাই কম।একদিকে অজয় দেবগণের ‘সন অফ সর্দার ২’ একইসঙ্গে মুক্তি পেয়েছে, এবং সেটা দ্বিতীয় দিনেই আয় করেছে ৭.৫ কোটি টাকা, যা ধড়ক ২-এর দ্বিগুণ। এই মুহূর্তে ‘সন অফ সর্দার ২’-এর মোট আয় দাঁড়িয়েছে ১৪.৫ কোটি টাকা, যা অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে তাকে।তৃতীয় সপ্তাহে পা দিলেও ‘সাইয়ারা’ এখনো বক্স অফিসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে, এই রবিবারের মধ্যেই ছবিটি ৩০০ কোটি টাকার মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবে।অন্যদিকে, অ্যানিমেটেড ছবি 'মহাবতার নরসিংহ'-ও দ্বিতীয় সপ্তাহে চমকপ্রদ সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছে।

 

মন্দিরে রানি 

‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায়। বলিউডে দীর্ঘ তিন দশকের সফর—তবু এটাই তাঁর প্রথম জাতীয় স্বীকৃতি। আর এই অসাধারণ মুহূর্তকে কৃতজ্ঞতায় ভরিয়ে দিতে তিনি পৌঁছলেন মুম্বইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে, প্রার্থনার জন্য।সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম পেজে রানির দর্শনের ছবি পোস্ট করা হয়। ছবিতে দেখা যায়, নীল রঙের সালোয়ার-কামিজ পরা রানি মাথায় লাল ওড়না জড়িয়ে, কপালে তিলক নিয়ে দাঁড়িয়ে প্রার্থনায় মগ্ন। একাধিক ছবিতে তাঁকে হাসিমুখে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে, কিন্তু মুখে যেন এক আভিজাত্য শান্তি।

 

‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবিতে এক মা-এর ভূমিকায় রানির অভিনয় মন কাড়ে সকলের। এই চরিত্রটি সাগরিকা চক্রবর্তীর বাস্তব জীবনের ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত—যিনি ২০১১ সালে তাঁর সন্তানদের নরওয়ের সরকার থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করেছিলেন। সেই আবেগ, রাগ, যন্ত্রণা আর মাতৃত্বের আকুলতা এতটাই নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন রানি, যে জাতীয় পুরস্কার যেন এক ন্যায্য প্রাপ্তি হয়ে দাঁড়ায়।

 

প্রয়াত মধন বব

দক্ষিণী ছবি  ইন্ডাস্ট্রির এক প্রজন্মের কমেডির অবিচ্ছেদ্য নাম মধন বব আর নেই। ৭১ বছর বয়সে, ২ অগাস্ট শুক্রবার, চেন্নাইয়ের হাসপাতালে ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের শেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বর্ষীয়ান এই অভিনেতা-কমেডিয়ান। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকাহত দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ও অগণিত অনুরাগী।জন্মসূত্রে তাঁর নাম ছিল কৃষ্ণমূর্তি। কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সুরের জগতে—একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে রূপোলি পর্দায় প্রবেশ। অভিনয়ে এসেই বাজিমাত—তাঁর ঘন কোঁকড়া চুল, চোখেমুখে অদ্ভুত এক্সপ্রেশন, আর কাঁপানো কণ্ঠস্বর তাঁকে করে তোলে ভিড়ের মধ্যেও আলাদা।

 

১৯৯০ ও ২০০০-এর দশকে, তামিল সিনেমার কমেডি ট্র্যাকে তাঁর নাম মানেই দর্শকের মুখে হাসি।অভিনয়জীবনে ২০০-রও বেশি ছবিয় কাজ করেছেন মধন বব। 'কুশি', 'পঞ্চতন্ত্রম', 'চেন্নাই ৬০০০২৮', 'সিভাকাসি', 'ফ্রেন্ডস'—তাঁর সেরা ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম।বিশেষত বিভিন্ন কমেডি চরিত্রে সহঅভিনেতা হিসেবে বাদশাহী কেমিস্ট্রি ছিল তাঁর বডিভেলু, বিবেক-দের সঙ্গে। সেই যুগের তামিল কমেডিগুলিকে মজার মণিমুক্তোয় পরিণত করেছিলেন তাঁরা।তাঁর মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শোকের ছায়া। একের পর এক অভিনেতা, পরিচালক, সহকর্মী ও ভক্তেরা শোকজ্ঞাপন করেছেন।