আজকাল ওয়েব ডেস্ক: টম ক্রুজের ‘মিশন: ইম্পসিবল – ‘দ্য ফাইনাল রেকনিং’ মুক্তির আগেই উত্তেজনার পারদ ছড়াল ভারতে। দেশের একাধিক শীর্ষ মাল্টিপ্লেক্সে সংস্থা অগ্রিম টিকিট বিক্রি ছুঁয়ে ফেলেছে ৪৫ হাজার টিকিটের মাইলফলক! তবে শুধু টিকিট নয়, প্রশ্নটা আরও বড়—এটাই কি টম ক্রুজের শেষ মিশন?
১৯৯৬-এ শুরু ‘মিশন ইম্পসিবল’ সিরিজের। এরপর সাতটি ব্লকবাস্টার অধ্যায় পেরিয়ে এবার এল সিরিজের অষ্টম পর্ব। নামেই রয়েছে ইঙ্গিত—দ্য ফাইনাল রেকনিং। ফলে টানটান উত্তেজনা তুঙ্গে -এবারই কি তবে শেষবারের মতো মাঠে নামছেন ইথান হান্ট?
গত ১৪ মে কান চলচ্চিত্র উৎসবে জমকালো প্রিমিয়ার হয় ছবিটির। আইকনিক ‘মিশন ইম্পসিবল’ থিম বাজতে বাজতেই রেড কার্পেটে হেঁটে এলেন টম ক্রুজ, পরিচালক ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি, অভিনেত্রী হেইলি অ্যাটওয়েল, সাইমন পেগ, অ্যাঞ্জেলা বাসেট ও হ্যানা ওয়াডিংহ্যাম।কান-এর মঞ্চে, পরিচালক ম্যাককোয়ারির মাস্টারক্লাস চলাকালীন হঠাৎ হাজির হলেন ক্রুজ। আর সেখানেই ধরা দিল তাঁর ৩০ বছরের মিশন ইম্পসিবল যাত্রার আবেগমাখা স্মৃতিচারণা।
সেখানেই টম ক্রুজের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ভেসে আসে - এই ছবিই কি তবে ইম্পসিবল সিরিজের অন্তিম অধ্যায় হতে চেলছে? প্রশ্নের ঝটিতি জবাব দেন টম—“এটা ৩০ বছরের পরিশ্রমের পরিণতি আমাদের। এটা শেষ কি না, সেটা না বলাই ভাল। বরং বলব, মানুষ আনন্দ করে, পুরোদমে উপভোগ করুক এই ছবি দেখে।”
তবে ‘মিশন ইম্পসিবল’ ছবির-ভক্তরা জানেন, শেষ মিশন কখনওই সহজ নয়। আগের ছবি 'ডেড রেকনিং' – পার্ট ওয়ান বিশ্বজুড়ে আয় করেছিল ৫৭১ মিলিয়ন ডলার। ভারতে তার কালেকশন ছিল ১১০ কোটিরও বেশি। যদিও একে অনেকে 'আন্ডারপারফর্মার' বলেও দাবি করেছিলেন।এবার দেখার, ‘ফাইনাল রেকনিং’ শুধুই একটি সমাপ্তি নাকি এক নতুন দিকচিহ্ন— মিশন ইম্পসিবল-এর ভবিষ্যৎ এখনো অন্ধকারে, আর সেই অন্ধকারেই জমে উঠেছে রুদ্ধশ্বাস কৌতূহল।
ইথান হান্টের এই অভিযান-ই কি তবে শেষ অভিযান? এই ছবি কি হলিউডের সিনেমার ইতিহাসে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে? উত্তর জানার জন্য আর মাত্র একদিনের অপেক্ষা।
