নিজস্ব সংবাদদাতা: ১৫ জুন পালিত হয় পিতৃদিবস। সদ্য বাবা হয়েছেন পরিচালক-অভিনেতা পরিমবার্ট চট্টোপাধ্যায়। এ দিন সেই অনুভব তিনি ভাগ করে নিলেন। “একটা রীতিমতো অবিশ্বাস্য অনুভূতি” বলছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সদ্য বাবা হয়েছেন তিনি। স্ত্রী তথা বিশিষ্ট সমাজকর্মী পিয়া চক্রবর্তীর কোল জুড়ে এসেছে এক ফুটফুটে পুত্রসন্তান। দেড় বছরের বিবাহিত জীবনের পরে এই খুশির খবর, আর ‘বাবা’ ডাকের সম্ভাবনা শুনে কী বলছেন অভিনেতা?

 

“আমার বন্ধুদের তুলনায় একটু দেরিতেই বাবা হলাম, তবে আমি মনে করি এটা আমার জন্য ভাল। জীবনের অনেক কিছু দেখে বাবা হয়েছি—তাতে দায়িত্ববোধটা বেশি এসেছে”, বলছেন পরমব্রত। সেই প্রথম মুহূর্তের কথা বলতে গিয়েই আবেগে গলা ধরে আসে অভিনেতার। “প্রথমবার ওকে দেখা, ধরে তোলার আগে... সেটা একেবারেই অবর্ণনীয়। এখনও ওকে দেখলে ভাবি, আমরা দু’জন মিলে এই একটা মানুষ তৈরি করেছি— এটা ভাবলেই আজও গায়ে কাঁটা দেয়।”

 

 

স্ত্রী-র গর্ভাবস্থার সেই ন’মাসও বিশেষভাবে স্মরণীয় ছিল পরমব্রতর কাছে। পিয়া ঠিক কীভাবে খবরটা জানিয়েছিলেন তাঁকে? পরমব্রতর কথায়, “আমি একদিন পার্টি করে রাতে ফিরেছি, সকালে আবার মিটিং। তাই আমি ওকে বারবার বলে রেখেছিলাম ঘুম বাঙাবে না, তবু ও আমার ঘুম ভাঙার জন্য ডাকাডাকি করছিল। তারপর হঠাৎ বলে উঠল, ‘আমি এমন একটা কথা বলব যেটা শুনলে ঘুম একেবারে চলে যাবে!’ সেভাবেই ও জানাল খবরটা— শুনে আমার তো চোখ কপালে!”

 

পিয়া আর পরমব্রত দু’জনেই নাকি মেয়ের অপেক্ষায় ছিলেন?  পরিচালক-অভিনেতার কথায়, “শুরুতে মেয়ে সন্তানই চাইছিলাম। তবে শেষের দিকে আমি বুঝতে পারছিলাম, ছেলেই হবে। আশপাশের সবাই-ও সেটাই বলছিল। আর মজার ব্যাপার, আমাদের বন্ধুরা বাজিও ধরেছিল যে কী হতে চলেছে!”— বললেন পরম। 

 

তবে বাবা হলেও, একজন মায়ের ভিতরের পরিবর্তন উপলব্ধি করাটাই পরমব্রতের কাছে সবচেয়ে বড় শিক্ষা –“যেটা একটা মা অনুভব করে, সেটা কোনও বাবা বা পুরুষ কখনও অনুভব করতে পারবে না—এটা আমার উপলব্ধি। আমার শরীরে হয়তো ৩০ শতাংশও হয়নি যেটা পিয়া পার করেছে। এটা বোঝাটাই সবচেয়ে কঠিন ও বড় বিষয়।” এইমুহূর্তে কাজ থেকে কিছুদিনের জন্য ছুটি নিয়েছেন পরমব্রত, জুলাই পর্যন্ত তাই কাজ বন্ধ – “আমি এখন একটা ব্রেকে আছি। চাইলে আরও বাড়াতে পারি। এই নতুন অধ্যায়ে মন দিতে চাই”, বললেন ৪৪ বছর বয়সি নতুন বাবা।