বলিউডের অন্যতম শক্তিশালী অভিনেত্রী হিসেবে তালিকার একেবারে উপরের দিকে নাম রয়েছে তাবুর। একের পর এক স্মরণীয় চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এই অভিনেত্রী। তিন দশকেরও বেশি সময়জুড়ে তাঁর ফিল্মোগ্রাফি সমানভাবে সমৃদ্ধ মূলধারার সিনেমা থেকে শুরু করে সমান্তরাল চলচ্চিত্রে। ‘মাচিস’-এ আত্মঘাতী চরিত্র হোক বা ‘মকবুল’-এর মায়াবী পরিচারিকা, তাবুর অভিনয়ে সর্বদাই মিশে থাকে অন্যরকম এক যাদু।
হায়দরাবাদের এক মুসলিম পরিবারে জন্ম তাবুর। অভিনেত্রী শাবানা আজমি, তানভি আজমির আত্মীয় তিনি। তবে খ্যাতনামা পরিবারে জন্ম হলেও নিজের জোরেই জায়গা করে নিয়েছেন বলিউডে। তবে ব্যক্তিগত জীবন কিন্তু তাবুর ফিল্মি কেরিয়ারের মতো সরল ছিল না। ঝাঁ চকচকেও ছিল না। ৫১ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী আজও অবিবাহিত। এক সাক্ষাৎকারে তিনি মজা করেই নিজের অবিবাহিত থাকার দায় চাপান অজয় দেবগণের ঘাড়ে!
২০১৭ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাবু বলেছিলেন, “হ্যাঁ, অজয় আর আমি একে অপরকে ২৫ বছর ধরে চিনি। অজয় ছিল আমার তুতো ভাই সমীর আরিয়ার প্রতিবেশী। ছোটবেলায় ওরা দু’জনে আমাকে নজরে রাখত সবসময়। যে সব ছেলে আমার সঙ্গে কথা বলত, বলতে চাইত তাদের মারধর করার হুমকি দিত। তাই যদি আজ আমি সিঙ্গেল থাকি, তার জন্য এই অজয়-ই দায়ী। আশা করি, এই বিষয়ে একদিন ওর অনুশোচনা হবে।”
কেরিয়ারে যেমন তুমুল উত্থান-পতন দেখেছেন তাবু, তেমনই দেখেছেন প্রেমের জীবনেও। তাবুর প্রথম সম্পর্ক ছিল অভিনেতা সঞ্জয় কাপুরের সঙ্গে।

ছবির শুটিং চলাকালীন শুরু হয় সেই প্রেম, তবে তা বেশিদিন টেকেনি। তবে এই অভিনেত্রীর সবচেয়ে আলোচিত সম্পর্ক অবশ্য ছিল দক্ষিণী তারকা আক্কিনেনি নাগার্জুনার সঙ্গে। শোনা যায় দীর্ঘ ১০ বছরের প্রেম ছিল তাবু-নাগার্জুনের। কিন্তু নাগার্জুনা তখন বিবাহিত। এই সম্পর্ক নিয়ে কখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি কেউই। অবশেষে তাবু উপলব্ধি করেন, এই সম্পর্কে স্থিতিশীলতা আসছে না, আর নাগার্জুনাও ফেরবিয়ে করতে অনিচ্ছুক। তাই সেখানেই শেষ হয়ে যায় এই সম্পর্ক।

একাকীত্ব বনাম জীবনে স্বাধীনতা নিয়েও মুখ খুলেছেন তাবু। নিজের ‘সিঙ্গল’ ট্যাগ নিয়ে কোনও সংকোচ নেই তাঁর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি মনে করি না সিঙ্গল শব্দটা খারাপ কিছু। একা থাকার মধ্যে কোনো অভাব নেই। ভুল সঙ্গীর সঙ্গে থাকা বরং অনেক বেশি ভয়ঙ্কর।”
আজও তাবু বলিউডের সবচেয়ে ব্যাঙ্কেবল অভিনেত্রীদের একজন। ভালবাসা আর সম্পর্ক হয়তো স্থায়ী হয়নি তাঁর জীবনে, কিন্তু অভিনয়ের প্রতি তাঁর ভালবাসাই জনতা এবং সমালোচক - এই দুই মহলেই তাঁকে দিয়েছে এক অদ্বিতীয় পরিচয় ও বহুল জনপ্রিয়তা।
