গোবিন্দার স্ত্রী সুনীতা আহুজা ২০২৫ সালকে তাঁর জীবনের এক মিশ্র অভিজ্ঞতার বছর হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পেশাগত দিক থেকে এই বছর তাঁকে সাফল্য ও জনপ্রিয়তা দিলেও, ব্যক্তিগত জীবনে তা ছিল যথেষ্ট কঠিন। স্বামী গোবিন্দাকে ঘিরে ওঠা একাধিক বিতর্ক তাঁকে মানসিকভাবে ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছে বলে স্বীকার করেছেন সুনীতা।

এক সাক্ষাৎকারে সুনীতা খোলাখুলি বলেন, গোবিন্দাকে ঘিরে ছড়ানো গুজবের কারণেই ২০২৫ সালকে তিনি নিজের জীবনের ‘খুব খারাপ বছর’ বলে মনে করেন। তাঁর কথায়, গোবিন্দার সঙ্গে এক তরুণীর সম্পর্ক নিয়ে লাগাতার আলোচনা তাঁকে গভীরভাবে কষ্ট দিয়েছে।

এই জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে সুনীতা জানান, ওই মহিলা কোনও অভিনেত্রী নন। তিনি বলেন, অভিনেত্রীরা এমন কাজ করেন না। তাঁর দাবি, ওই নারী গোবিন্দাকে ভালবাসেন না, বরং তাঁর অর্থের দিকেই আগ্রহ বেশি।
তবে ব্যক্তিগত টানাপড়েনের মাঝেও পেশাগত জীবনে সাফল্যের কথা বলতে ভোলেননি সুনীতা। তিনি জানান, ২০২৫ সালেই তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেল শুরু করেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শকদের ভালোবাসা ও সাফল্য পেয়েছেন। এই বিষয়টি তাঁকে ভীষণ আনন্দ দিয়েছে বলে জানান তিনি।

সমালোচনা নিয়েও সুনীতার স্পষ্ট বক্তব্য রয়েছে। তিনি বলেন, তাঁকে নিয়ে নিন্দাও করা হয়, কিন্তু তাতেও তিনি বিচলিত নন। যারা তাঁকে অপছন্দ করেন, সেটাকে তিনি তাঁদের ব্যক্তিগত সমস্যা হিসাবেই দেখেন।
ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সুনীতা আশা প্রকাশ করেছেন যে, ২০২৬ সাল তাঁর জীবনে শান্তি ও সুখ নিয়ে আসবে। তিনি চান, গোবিন্দা যেন সমস্ত বিতর্কের ইতি টানেন এবং পরিবারকে গুরুত্ব দেন। তাঁর কথায়, তিনি একটি সুখী পরিবার চান এবং আশা করেন, তা খুব শীঘ্রই বাস্তবায়িত হবে।

সুনীতা বলেন, একজন পুরুষের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনজন নারী হলেন মা, স্ত্রী ও মেয়ে। এর বাইরে আর কারও জায়গা থাকা উচিত নয়। এই কথা তিনি শুধু গোবিন্দার জন্য নয়, সব পুরুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য বলে মনে করেন।

স্বামীর কেরিয়ার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে সুনীতা বলেন। তিনি চান গোবিন্দ যেন চারপাশের নেতিবাচক মানুষদের থেকে দূরে সরে নিজের কাজের দিকে মন দেন। তাঁর মতে, এদের অনেকেই শুধু অর্থের জন্যই গোবিন্দার পাশে থাকেন।

এর আগে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, গোবিন্দার সঙ্গে এক ৩০ বছর বয়সি মারাঠি অভিনেত্রীর সম্পর্ক রয়েছে, যা তাঁদের দাম্পত্য জীবনে দূরত্ব তৈরি করে। এমনকি বিচ্ছেদের গুঞ্জনও ছড়িয়েছিল। তবে চলতি বছরের শুরুতে মুম্বইয়ের বাড়িতে একসঙ্গে গণেশ চতুর্থীর উৎসব পালন করে সেই সমস্ত বিচ্ছেদ-জল্পনার অবসান ঘটান গোবিন্দ ও সুনীতা।