কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ—টলিউডের অন্যতম আলোচিত ও আকর্ষণীয় জুটি। বহু বিতর্কের ঝড় সামলেও তাঁদের সম্পর্কের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়েছে সময়ের সঙ্গে। বরং দিন যেতে যেতে দু’জনের প্রতি দু’জনের টান যেন আরও বেড়েছে। সেই প্রেম, সেই উষ্ণতার ঝলকই শ্রীময়ী প্রায়ই ভাগ করে নেন ভক্তদের সঙ্গে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুটিয়ে তোলেন তাঁদের অটুট সম্পর্কের গল্প।
শনিবার রাতে আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় আগুন ধরালেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। একলা ঘরের শান্ত আলোয় দু’জনের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ধরা পড়ল ক্যামেরায়। শ্রীময়ী পোস্ট করতেই ছবিগুলো দুলে উঠল নেটদুনিয়া। বিছানায় পাশাপাশি শুয়ে দু’জনের চোখে একই নরম আলো, মুখে মৃদু হাসি। ভালবাসার সেই মুহূর্তটাকেই লেন্সবন্দি করেছেন অভিনেত্রী, যেন নিঃশব্দে জানিয়ে দিলেন—সব বিতর্ক সত্ত্বেও তাঁদের টানটা আজও অবিকল রয়ে গিয়েছে।
এখানেই শেষ নয়। একে-অপরের ঠোঁটেও ডুব দিয়েছেন তাঁরা। কাচের জানলায় সেই প্রতিবিম্বকে লেন্সবন্দি করেছেন শ্রীময়ী। ভালবাসার মুহূর্তদের পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ভালবাসা কোনও সীমা চেনে না’।
ভালবাসার সেই পোস্টেও কটাক্ষের বন্যা। জনৈক নেটিজেন লেখেন, ‘কিছু মুহূর্তকে আড়ালেই রাখুন না! সব কিছু প্রকাশ্যে আনার দরকার কী!’ অন্য জনের টিপ্পনি, ‘নিজেরাই পোস্ট করবে আর বিচ্ছেদ হলে. মানুষের নজর লেগেছে তাই এরকম হয়েছে বলবে।’ একজন আবার প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, ‘এই সব ফোটো সোশ্যাল মিডিয়াতে দিয়েছেন কি কারণে ? এটা দেখানোর জন্য যে আপনারা কত খুশি আছেন? নাকি নেগেটিভ কমেন্ট পড়ার নেশা ধরে গিয়েছে!’
তবে ট্রোল-কটাক্ষকে আর গায়ে মাখেন না কাঞ্চন-শ্রীময়ী। নিজেদের ছন্দে বাঁচেন তাঁরা।
২০২৪ সালে যখন কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টরাজ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সেই সময় বিস্তর কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁদের। অভিনেত্রীকে প্রবল আক্রমণ করতে থাকেন নেটনাগরিকরা। পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কাঞ্চনের একটি ছেলে থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে অভিনেতা ফের বিয়ে করেন, সেই প্রশ্ন তুলেও ট্রোল, কটাক্ষের বন্যা বয়ে যায়। প্রসঙ্গত, তার আগেও কাঞ্চনের আরও একটি বিয়ে ছিল। শ্রীময়ী তাঁর তৃতীয় স্ত্রী। তার উপর বয়সের ফারাক অনেকটাই। সব মিলিয়ে প্রচুর নেতিবাচক মন্তব্য শুনতে হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু সেসবকে উপেক্ষা করে তাঁরা নিজেদের মতো এগিয়ে গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালেই মা-বাবা হন কাঞ্চন এবং শ্রীময়ী। কালীপুজোর দিন ভূমিষ্ট হয় তাঁদের মেয়ে কৃষভি। সদ্যই তার প্রথম জন্মদিন গেল। তবে কাজ আর সংসার সামলেও তাঁদের সম্পর্কের উষ্ণতায় কোনও ভাটা নেই। বারবার প্রমাণ দিয়েছেন—ভালবাসা না মানে সীমা, না মানে কোনও বিতর্ক।
