সম্প্রতি অভিনেত্রী সোহা আলি খান তাঁর জীবনের এক ব্যক্তিগত অধ্যায় নিয়ে মুখ খুলেছেন। নিজের পডকাস্ট সিরিজ 'অল অ্যাবাউট হার'-এ তিনি তাঁর মা তথা কিংবদন্তি অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের একটি পুরনো আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন। সোহা জানান, শর্মিলা মনে করতেন যে সোহার তৎকালীন লিভ-ইন পার্টনার কুণাল খেমু হয়তো তাঁর মেয়েকে বিয়ে করবেন না।
সোহা এবং কুণাল বিবাহের আগে প্রায় সাত বছর সম্পর্কে ছিলেন এবং এর মধ্যে দু’বছর তাঁরা একসঙ্গে লিভ-ইনও করেছেন। তাঁদের একসঙ্গে থাকা শুরু হওয়ার পরেই শর্মিলা তাঁর মেয়েকে সতর্ক করেছিলেন। সোহা সেই সময়ের কথা মনে করে বলেন, "কুণাল আর আমি যখন বিয়ে না করে এক ছাদের তলায় থাকতে শুরু করি, তখনই মা বলেছিলেন, 'এবার আর ও তোমাকে বিয়ে করবে না। তুমি ওর আগ্রহটাই কেড়ে নিয়েছ।' আর আমি ভাবতাম, হয়তো মা ঠিকই বলছেন।"
আসলে সোহা এবং কুণাল দু'জনেই সেসময় মনে করতেন যে, বিয়েটা তাঁদের কাছে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কুণালেরও একই মত ছিল এবং সোহাও ভাবতেন যে হয়তো সম্পর্কের বিয়ের কোনো প্রয়োজন নেই। তাঁরা দু'জনে একসঙ্গে বেশ সুখেই ছিলেন। শর্মিলা ঠাকুরের ধারণা ছিল, পুরুষদের দিক থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসতে গেলে হয়তো সামান্য একটু 'উৎসাহ' বা 'ঠেলা' দেওয়া দরকার, নতুবা তারা বিয়ে করতে চাইবে না।
সোহা এই বিষয়ে আরও যোগ করেন, তাঁদের বিবাহ-পরিকল্পনা মূলত পরিবারের সদস্যদের আগ্রহ এবং ইচ্ছার ফল। যেহেতু বিয়ে তাঁদের কাছে খুব বড় কোনও বিষয় ছিল না, তাই পরিবারের সকলকে খুশি করার জন্যেই তাঁরা গাঁটছড়া বাঁধতে রাজি হন। পতৌদিকন্যার কথায়, "আমাদের কাছে যখন বিষয় অতটাও গুরুত্বপূর্ণ নয়, তখন ভাবলাম, বিয়েটা করেই নিই।"
অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে সোহা আলি খান এবং কুণাল খেমু বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে তাঁদের জীবনে রয়েছে এক কন্যা সন্তান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য শর্মিলার সেই আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
