নিজস্ব সংবাদদাতা: মোহিনীর ষড়যন্ত্রে কাবু 'দেবী-অনিকেত'। বাড়ির মধ্যেই লুকনো এক জটিল সত্যি! তার সন্ধানে উঠেপড়ে লেগেছে দেবী। সে কি পারবে অনিকেতকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতে? জানতে আজকাল ডট ইন পৌঁছে গিয়েছিল ম্যাকনেল স্টুডিওতে, সান বাংলার 'দেবী বরণ'-এর শুটিং ফ্লোরে।


গা ছমছমে অন্দরমহল 

চারদিকে অন্ধকার। মাকড়শার জালে ঘিরেছে দেওয়াল-থাম। মরচে ধরেছে পুরনো দরজায়। গা ছমছমে পরিবেশ। এক ঝলক দেখলে সেট নয়, যেন মনে হচ্ছে কোনও পুরনো বাড়ির অন্দরমহল। এদিকে, সবে মাত্র শেষ হয়েছে লাঞ্চ ব্রেক। মেকআপ রুমে চলছে পরবর্তী দৃশ্যটি একটু ঝালিয়ে নেওয়ার পালা। তার মাঝেই চলছে পর্দার 'দেবী' ওরফে অ্যানমেরী টম ও 'অনিকেত' ওরফে সিদ্ধার্থ সেনের খুনসুটি। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই ফের জুটিতে, কী কী পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন একে অপরের মধ্যে? অ্যানমেরীর কথায়, "আমি একইরকম আছি। বরং কথা বলার পরিমাণটা আরও বেড়েছে। সিদ্ধার্থ যেমন চুপচাপ ছিল তেমনই আছে।" অ্যানমেরীর কথা শেষ হতেই সিদ্ধার্থ বলেন, "ধৈর্য ক্ষমতা আরও অনেক বেশি বেড়েছে। কারণ ওর কথা বলা বেড়েছে। তাই আমাকেও শোনার জন্য ধৈর্য শক্তি বাড়াতে হয়েছে।" পুরনো বন্ধুত্ব আরও তাজা হয়েছে তাহলে? "অবশ্যই। যেন বন্ধুত্বের রিইউনিয়ন। চেনা মানুষের সঙ্গে কাজ করাটা অনেক সহজ হয়ে যায়," বললেন অ্যানমেরী।


প্রেম করছেন অ্যানমেরী-সিদ্ধার্থ? 

পর্দায় তো মাঝেমধ্যেই অনিকেত, দেবীর উপর রেগে যাচ্ছে। শুটিংয়ের ফাঁকেও কি রাগারাগি চলে? প্রশ্ন শেষ হতেই অ্যানমরী তাড়াতাড়ি বলেন, "ওরে বাবা! রোজ ঝগড়া হয়। প্রায় মুখ দেখাদেখি বন্ধ থাকে আমাদের।" জোরে হেসে সিদ্ধার্থের জবাব, "আমাদের রীতিমতো মারামারি চলে।" কথা শেষ হতে না হতেই সিদ্ধার্থের নাক টেনে ধরলেন অ্যানমেরী। কোনও মতে নিজেকে ছাড়িয়ে সিদ্ধার্থও পাল্টা চিমটি কাটলেন নায়িকার হাতে। দু'জনের খুনসুটিতে বাঁধ সাধলেন পাশের ফ্লোরের ম্যানেজার। সেখানে চলছে শোকের দৃশ্য। তার মাঝে 'দেবী বরণ'-এর নায়ক-নায়িকার হাসির আওয়াজ ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। অন্য ফ্লোরের ম্যানেজারের বকুনিতে একেবারে চুপ দু'জন। 

 

কানাঘুষো শোনা যায় আপনাদের প্রেম চলছে! সত্যি? সিদ্ধার্থের কথায়, "একদম সত্যি! সেটা পর্দায় চলছে। আর পর্দায় আমাদের এতটাই পছন্দ করছেন দর্শক যে, বাস্তবেও আমাদের বন্ধুত্ব তাঁরা পছন্দ করছেন।" অ্যানমেরীর কথায়, "আমার অনেক সিক্রেট ও জানে। তাই আমি প্রেম করলে ও আগে ফাঁস করে দেবে। আপাতত কাজটা দু'জন ভালবেসে করছি।"