১৯৯৩ সাল। মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছিল বাণিজ্যনগরী। সেই ভয়াবহ, ইতিহাসের পাতায় কালো হরফে থাকা বম্বে ব্লাস্টে নাম জড়িয়েছিল অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের। সেই অধ্যায়ের বিষয়ে সম্প্রতি মুখ খুললেন অভিনেতা।
সঞ্জয় দত্ত এদিন জানান ১৯৯৩ সালের সেই সময়টা তাঁর জীবনের অন্যতম কঠিন সময় ছিল। তাঁর কাছ থেকে অস্ত্র না পাওয়া সত্ত্বেও অস্ত্র আইনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এমনকী পাঁচ বছর জেলও খাটেন তিনি।
জীবনের এই কঠিন অধ্যায়ের স্মৃতি হাতড়ে এদিন এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন সঞ্জয় দত্ত। জানালেন, 'আমার বাবাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। আমার বোনেদের হুমকি দেওয়া হয়। ওরা বলেছিল আমার কাছে নাকি বন্দুক আছে। কিন্তু প্রমাণ করতে পারেনি। আমি জানি না ওঁদের কেন ২৫ বছর লেগে গেল এটা বুঝতে। কোনও বন্দুক না পেয়েই, অস্ত্র আইনে আমায় দোষী প্রমাণ করে দিল।' তাঁর মতে আধিকারিকদের এত সময় লাগাই উচিত ছিল না এটা প্রমাণ করার জন্য যে তিনি বম্বে বিস্ফোরণের অংশ ছিলেন না।
তবে এই কঠিন সময়, আইনি জটিলতা, ইত্যাদির মধ্যেও তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলেই জানালেন সঞ্জয় দত্ত। তাঁর কথায়, 'আমার জীবনের অংশ হিসেবেই দেখি এটাকে। এটার থেকে শিক্ষা নিই। সম্মানের সঙ্গেই জেলে সময় কাটিয়েছি। আইন নিয়ে জ্ঞান অর্জন করেছি। প্রচুর বই পড়েছি আইন নিয়ে।'
জেলে কীভাবে সময় কাটাতেন সেই বিষয়েও এদিন কথা বলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। জানান তিনি সেখানে রেডিও স্টেশন শুরু করেন একটি, নাম দেন ওয়াইসিপি। এমনকী একটি নাটকের দলও তৈরি করেন তিনি। পরিচালক হিসেবে তিনি থাকতেন। অন্যদিকে খুনে যাঁরা অভিযুক্ত ছিলেন, তাঁরা অভিনয় করতেন। জেলে কাজ করে উপার্জনও করেছিলেন বলে জানান সঞ্জয় দত্ত।
এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভাল, ২০১৬ সালে জেল থেকে ছাড়া পান সঞ্জয় দত্ত। তাঁর জীবনের এই অধ্যায়ের কথা। তাঁর বায়োপিকে তুলে ধরেছিলেন রাজকুমার হিরানি। সেই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন রণবীর কাপুর।
