‘বাগি’ সিরিজের তিন তিনটে ছবির পর ফের চতুর্থ বার ‘রনি’ হয়ে ফিরছেন টাইগার শ্রফ। আর এবার তাঁর সঙ্গী হচ্ছেন বলিউডের 'খলনায়ক' তারকা সঞ্জয় দত্ত। সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা প্রযোজিত ও এ হর্ষা পরিচালিত এই ছবিটি নাকি 'বাগি' সিরিজের ইতিহাসে সবচেয়ে হিংস্র ও রক্তগরম ছবি হতে চলেছে। অ্যাকশন-থ্রিলার কাহিনির ভেতরে রয়েছে টানটান প্রেমের গল্পও। ছবিতে দুই নায়িকা—সোনম বাজওয়া এবং প্রাক্তন ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরী হরনাজ সান্ধু।

মুক্তির আর মাত্র এক দিন বাকি। তার আগেই দেওয়া সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত খুলে বললেন কেন তিনি ‘বাগি ৪’-এ যুক্ত হলেন। অভিনেতার স্পষ্ট বক্তব্য, “আমার চরিত্রটা ভয়ঙ্কর হিংস্র আর নির্মম, কিন্তু দর্শক হলে থেকে বেরোতে বেরোতে ওর জন্য সহানুভূতি অনুভব করবেন। এই চিত্রনাট্য শুনে আমি যেরকম চমকে উঠেছিলাম, মন যেভাবে নাড়া খেয়েছিল, শেষ বার সেটা হয়েছিল ‘বাস্তব’-এর সময়। বহু বছর পর ফের এমন এক অভিজ্ঞতা হল।”

ছবিতে এই চরিত্রের জন্য কী রকম প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, সে কথাও জানালেন সঞ্জয়। “এই ভূমিকায় ঢুকতে গিয়ে নিজেকে ভীষণভাবে চাপ দিয়েছি। শরীরচর্চা করেছি, ওজন বাড়িয়েছি, কঠোর প্রশিক্ষণ নিয়েছি। এতদিন পরও মনে হচ্ছিল নতুন করে কাজ শুরু করেছি। সেটে টাইগার আর বাকিদের এনার্জি আমাকে আবার নতুন অভিনেতার মতো করে তুলেছিল।”

এখানেই শেষ নয়। সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার সঙ্গে কাজের প্রসঙ্গে বললেন, “সাজিদের সঙ্গে কাজ মানেই বাড়ি ফেরার মতো। ‘বাগি ৪’ আমাদের সবার জন্য বিশেষ একটা ছবি হতে চলেছে। আশা করি দর্শকেরা ছবিটা দারুণ উপভোগ করবেন।”

আগামী ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ মুক্তি পাচ্ছে ‘বাঘি ৪’। ইতিমধ্যেই টিকিট বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে, আর উত্তেজনায় ফুঁসছে দর্শক। টাইগার–সঞ্জয় জুটির লড়াই এবার বক্স অফিসে কতটা আগুন ধরায়, সেটাই দেখার।


টাইগার শ্রফের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি বাগি ফের আসছে চতুর্থ কিস্তি নিয়ে। নাম ‘বাগি ৪’। শুক্রবারই মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি, আর তার আগে শুরু হয়েছে অগ্রিম বুকিং। তবে বলিউড ট্রেডে হইচই ফেলে দেওয়ার মতো সূচনা হয়নি। বরং প্রত্যাশার তুলনায় একেবারেই ফিকে প্রথম পদক্ষেপ।


বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত—অর্থাৎ শো শুরু হওয়ার মাত্র ১২ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত—‘বাগি ৪’ অগ্রিম বিক্রি করেছে সারা দেশে মাত্র ১.২৭ লক্ষ টিকিট। আয় প্রায় ৩ কোটি টাকা (প্রথম দিনের জন্য), জানিয়েছে স্যাকনিক-এর রিপোর্ট। বড় শহরগুলিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ছবিটির অগ্রিম দখলদারির হার ছিল মাত্র ৪ থেকে ৭ শতাংশ—অ্যাকশন থ্রিলারের জন্য যা একেবারেই নিরাশাজনক। ট্রেড সূত্রে খবর, বিদেশেও ছবির প্রি-সেল আশানুরূপ নয়। আসল ভরসা এখন মুখে মুখে প্রচারে। দর্শক কী বলেন, তার উপরই নির্ভর করছে সপ্তাহান্তে ছবির ভাগ্য।একইসঙ্গে ট্রেড মহলে চিন্তার কারণ—অ্যাকশন টেন্টপোল ছবি যদি প্রথম দিনেই গতি হারায়, তবে দীর্ঘ দৌড়ে বড় ক্ষতি হতে পারে। ‘বাগি ৪’ আসলে এক উত্তরাধিকার ফ্র্যাঞ্চাইজি, হিংস্র অ্যাকশন থ্রিলার—তাই প্রাথমিক ঝড় ওঠার কথা থাকলেও, সেটি ঘটছে না। পরিস্থিতি আরও অস্বস্তিকর, কারণ ‘বাগি ৪’ পিছিয়ে পড়ছে ‘ওয়ার ২’-এর থেকেও। সেখানে প্রথম দিনের অগ্রিম বুকিং থেকেই আয় হয়েছিল ২০ কোটি টাকা। অথচ সেই ছবিও বক্স অফিসে প্রত্যাশামতো চলেনি। ফলে ‘বাগি ৪’-এর ক্ষেত্রে ট্রেড অ্যানালিস্টরা আরও শঙ্কিত।