‘বিগ বস ১৯’ নিয়ে ভক্তরা মাঝে মধ্যেই অভিযোগ তুলেছেন যে সলমন খান নাকি আমাল মালিকের প্রতি পক্ষপাত দেখান। তবে চলতি সপ্তাহের ‘উইকএন্ড কা বার’এ পরিস্থিতি বদলে যায়। সকলের সামনে সঙ্গীত পরিচালক আমাল মালিককে কঠোরভাবে ভর্ৎসনা করেন সলমন। এমনকি শো শেষ হলেও আমালকে ‘শিক্ষা’ দেওয়ার ইঙ্গিত দেন তিনি।
শো চলাকালীন একটি টাস্কে প্রতিযোগীদের জিজ্ঞাসা করা হয়, ট্রফি না জিতলে কে ‘সোর লুজার’ হতে পারে। বেশিরভাগ প্রতিযোগী যেখানে শেহবাজ বদেশার নাম নেন, সেখানে প্রণিত মোরে বলেন আমালের নাম। কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “অনেকবার ওকে বলতে শুনেছি, ‘উইকএন্ডে সলমন স্যর আমার আর শেহবাজের ক্লাস নেবেন।’ ওভাবে বলা থেকে মনে হয়, যেন এটা নিয়ে তিনি গর্ববোধ করেন। তাই আমার মনে হয়, বাড়ির বাইরে গিয়েও তিনি সত্যিটা মানতে পারবেন না।”
প্রণিতের কথার পর সলমন বলেন, “এখানে যতটা ক্লাস নেওয়া হয়েছে, যথেষ্ট। কিন্তু আসল ক্লাস হবে যখন সে বাড়ির বাইরে বেরবে—১০০০%। আর ক্লাস নেওয়ার আলাদা উপায় আছে—কখনও বুঝিয়ে বলা, কখনও বকাঝকা করা, আর কখনও কিছুই না করা… শুধু উপেক্ষা করা। উপেক্ষার চেয়ে বড় শিক্ষা আর কিছু নেই। নির্লিপ্ত থাকুন।”
সলমনের এই মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়ার ঝড়। বহু দর্শক দাবি করেন, সলমনের কথা শুনে অমালের মুখের রং বদলে গিয়েছিল। কেউ লেখেন, ‘খুব আঘাত লাগার মতো কথা… তবু সলমন ভাই, আবার বলুন।’ আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘কথাটা শুনে আমালের আত্মা শরীর ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।’ কেউ আবার লেখেন, ‘যখন সলমন কারও প্রতি নির্লিপ্ত হয়ে যান, তখন বোঝা উচিত—খেলা শেষ।’
কেন ভর্ৎসনা করলেন সলমন? এই ‘উইকএন্ড কা বার’এ সলমন মালতী চাহারের প্রতি অমালের অসম্মানজনক আচরণকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন। পাশাপাশি অভিযোগ তোলেন, শক্তিশালী প্রতিযোগীদের সঙ্গে কখনও মুখোমুখি না হয়ে তিনি পর্দার আড়ালে তাঁদের নিয়ে মন্তব্য করেন। এছাড়াও ‘বিগ বস পক্ষপাতদুষ্ট’, ‘মেকাররা অন্যায় করছেন’— এমন অভিযোগ তোলা এবং রোহিত শেট্টির সামনে উচ্চস্বরে কথা বলার জন্যও আমালকে সতর্ক করেন তিনি।
রবিবারের পর্বে সলমনের সঙ্গে মঞ্চে যোগ দেবেন ফতিমা সানা শেখ, বিজয় বর্মা এবং মণীষ মালহোত্রা—তাঁদের আসন্ন ছবি ‘গুস্তাখ ইশক ’এর প্রচারের জন্য। তাঁরা প্রতিযোগীদের সঙ্গেও আলাপচারিতা করবেন। এছাড়া একতা কাপুরও উপস্থিত থাকবেন। এবং প্রতিযোগীদের একজনকে তাঁর আগামী টেলিভিশন শোয়ে কাজের সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা করবেন।
